সুন্দরবন বাঁচাতে ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ

সুন্দরবন বাঁচাতে আগামী ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। বনের ক্ষতি মোকাবেলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া, দায়ীদের বিচার এবং রামপাল, ওরিয়ান বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করে এ সমাবেশ করা হবে।
গতকাল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে ‘বিপদে সুন্দ্রবন: সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন উত্থাপন ও করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
জাতীয় কমিটির সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান ও প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা শ্যালা নদীসহ সুন্দরবনের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অন্যদের মধ্যে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল বাসার, ড. স্বপন আদনান বক্তব্য রাখেন।
শেখ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বলেন, সরকার জনগণের কথা শোনে না। এরা লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষা করে। এটি না হলে এবারের বিপর্যয়ের পর ঐ অঞ্চলের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ঘোষণা দিত। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে যারা জাহাজ চলাচলের ও মেয়াদ উর্ত্তীণ, আনফিট জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি ঘটনার পর সরকারের কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, ক্ষতি থেকে সুন্দরবন রক্ষা করতে সরকারের উদ্যোগহীনতা দেশবাসী দেখেছে। তিনি বলেন, বন ও মানুষকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই। বন রক্ষা করতে হবে মানুষের স্বার্থে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যর্থ হলে বেসরকারি উদ্যোগে ঐ কমিটি গঠন করা হবে।
তানজিম উদ্দীন খান তেল নিঃস্বরণের জন্য সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ, ভবিষ্যতে নৌ এবং সব ধরনের জলপথে এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আগাম প্রস্তুতিসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানান।