জলবায়ুর বিষয়ে সরকারকে তাগাদা দিতে হবে
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়ে সুশীল সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।সার্কভূক্ত দেশগুলোর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা যদি নিজ নিজ দেশের সরকারগুলোর উপর এই বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে তাহলে সার্ককে একটি কার্যকর প্লাটফর্ম হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ইক্যুইটিবিডি এবং অক্সফামের উদ্যোগে আয়োজিত“দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তন: আঞ্চলিক সহযোগিতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।সেমিনারে ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নেপালে অবস্থিত এবং সার্ক ভিত্তিক দেশগুলোর নাগরিক সমাজের নেটওয়ার্ক পিপলস’ সার্ক এর ড. সর্ব রাজ খাড়কা, ভারতের ক্লাইমেট একশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়ার সমন্বয়ক সঞ্জয় ভাহসিস্ট এবং বিয়োন্ড কোপেনহেগেন কালেকটিভ-ইন্ডিয়ার ড. সৌময়া দত্ত।অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিএনপি’র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিক রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ, অক্সফামের এশিয়া অঞ্চলের কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক মুক্তা, অক্সফামের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. স্নেহাল সুনেজি প্রমুখ।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন যে, জলবায়ু সংক্রান্ত থিম্পু ঘোষণার ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যদি একত্রে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসে, তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া দারুন সম্ভাবনাময় ও বিদ্যুত্ উত্পাদনের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ব একটি অঞ্চলে পরিণত হতে পারে।লে. জে (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে নিজ নিজ সরকারগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারলে সার্ককে একটি কার্যকর প্লাটফর্ম হিসেবে তৈরি করা সম্ভব।
ড. সৌমায়া দত্ত বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কর্মর্সুচ বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজের উচিত্ বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্যদের তৈরি তথ্যের বদলে কমিউনিটি ভিত্তিক বিকল্প জ্ঞান ও তথ্য ভান্ডার গড়ে তোলা, যার মাধ্যমে জলবাযু পরিবর্তন সংক্রান্ত কর্মসুচিতে জনগণের প্রকৃত প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব হবে।সঞ্জয় ভাসিস্ট দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি সমন্বিত একটি জলবায়ু পরিবর্তন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর জোর দেন।তিনি যুক্তি দেন যে, বিশ্ব ব্যাংক যেহেতু এ খাতে বিনিয়োগ করছে, সেহেতু সমন্বিত পরিকল্পনা থাকলে সেই বিনিয়োগে জনস্বার্থ অধিকতর নিশ্চিত হবে।ড. সর্বরাজ খাড়কা বলেন, ১৯৯০ সালে সুশীল সমাজ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছিল, জলবায়ু ইস্যুকে কেন্দ্র করে সেটাকে আবারও একটু পর্যালোচনা করে দেখার সময় এসেছে।ড. রিয়াজ হামিদুল্লাহ সুশীল সমাজকে সার্কের কাছে সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা নিয়ে আসার সুপারিশ করেন।