সেচের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাস বাড়ানোর নির্দেশ
সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের যোগান অব্যাহত রাখা হবে।
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে সেচ মৌসুম শুরু হয়। মে পর্যন্ত থাকে। এ সময় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে। গত সেচ মৌসুমে মে মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৯৭৭ মেগাওয়াট। চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের সম্ভাব্য চাহিদা ১৪ হাজার মেগাওয়াট।
সম্ভাব্য গ্যাসের সর্বোচ্চ চাহিদা দৈনিক ১৫৫ কোটি ঘনফুট, ফার্নেস অয়েলের চাহিদা ২২ হাজার মেট্রিন টন ও ডিজেলের ৬ হাজার ১০০ মেট্রিন টন।
চলতি সেচ মৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল সরবরাহ বাড়ানো, গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করা, জ্বালানি পরিবহনে যেন সমস্যা না হয় সে জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও বিপিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং কয়লার সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা, সেচে পানির সাশ্রয়ী ব্যবহারের জন্য বিকল্প (ওয়েট এন্ড ড্রাই) পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে ব্যাপক প্রচারণা করা, গ্রিড উপকেন্দ্র, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন ও উপকেন্দ্র সংরক্ষণ ও মেরামত জরুরি ভিত্তিতে করা, ওভারলোডেড সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইন মেরামত করা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কমপক্ষে দুই মাসের জ্বালানি তেলের মজুদ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলের বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলায় লো-ভোল্টেজ সমস্যা মোকাবেলার জন্য নেসকো ও পিজিসিবি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
সেচ পাম্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ তদারকির জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন এবং গঠিত মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরূল হামিদ বলেন, সেচ মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
ভার্চুয়াল এই আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সভায় অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, বিআরইবি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মঈন উদ্দিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।