সেবা নেই তবু বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় ডেসকো
সেবার মান ভাল করার নানা উদ্যোগের কথা শোনালেও বাস্তবে ঘণ্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এর অভিযোগ পাওয়া যায়।
এমনই পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ডেসকো। এদিকে শুধুমাত্র লোকসানের দোহাই দিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব যুক্তিযুক্ত নয় বলে মনে করছেন ভোক্তারা।
আজ সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত ডেসকোর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে এই বক্তব্যই উঠে আছে। বিইআরসি’র চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, আবদুল আজিজ খান ও মাহমুদউল হক ভুইয়া শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকার মিরপুর, গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরায় বিদ্যুৎ বিতরণ করে ডেসকো। শুনানীতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে তারা। তবে তাদের প্রস্তাবের বিপরীতে বিদ্যুতের দাম ১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৮ পয়সা ইউনিটে বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
ডেসকোর প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের গড় বিক্রয়মূল্য ৭ টাকা ২০ পয়সা। তবে এ বিদ্যুতের গড় সরবরাহ মূল্য ৭ টাকা ৭২ পয়সা। ফলে ইউনিট প্রতি ঘাটতি ৫২ পয়সা বা ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু বাণিজ্যিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহে মুনাফা করে ডেসকো। পাশাপাশি আবাসিকেও ৪০০ ইউনিটের বেশি ব্যবহারকারি গ্রাহকদের ক্ষেত্রে মুনাফা হয়। আর বাকি সব গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ডেসকোর ট্যারিফ ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি মেটাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানায় তারা।
মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়, সরকার নতুন পে-স্কেল ঘোষণার ফলে ডেসকোর ব্যয় বেড়েছে ইউনিট প্রতি ৮ পয়সা যা ১ দশমিক ১১ শতাংশ বাড়ালেই যথেষ্ট। তবে বিদ্যমান পাইকারি দাম বাড়ানোর হলে গ্রাহক পর্যায়ে তা আরো বাড়ানো প্রয়োজন পড়বে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা ও নীতিগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। এর ব্যয় ভার গ্রাহকদের ওপর চাপানো সঠিক হবে না। প্রয়োজনে ডিপিডিসির ঘাটতি অন্য উপায়ে মেটানোর উদ্যোগ নিতে হবে।