ভারতের জ্বালানি তেলে চলবে সৈয়দপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র

সৈয়দপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র চলবে ভারতের জ্বালানি তেল দিয়ে। ভারতের নুমালীগড় থেকে পাইপে করে জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। তা দিয়েই চলবে সৈয়দপুরে ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
২০২১ সালের জুনের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রর কাজ শেষ হবে। একই সাথে শেষ হবে বাংলাদেশ-ভারত জ্বালানি তেল পাইপলাইনের কাজ।
বাংলাদেশে এই প্রথম কোন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলো যার জ্বালানি সরবরাহ উৎস ভারত। এতে জ্বালানির খরচ কম হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল (তেল ভিত্তিক) এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ইপিসি ঠিকাদার ডংফ্যাং ইলেক্ট্রিক ইন্টারন্যাশনাল করোরেশন (ডিইসি), চায়না।
মঙ্গলবার রাজধানির বিদ্যুৎভবনে ডিইসি’র সাথে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চুক্তি হয়েছে। চুক্তিতে পিডিবির সচিব মীনা মাসুদুজ্জামান এবং ডিইসি’র প্রেসিডেন্ট লিউ ঝিগাং সই করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম বলেন, উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ও স্থায়িত্বের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে খুব সাশ্রীয় খরচে এই কেন্দ্র করা হচ্ছে। জাতীয় গ্রিডের ভারসাম্যের জন্য এধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রয়োজন।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সৈয়দপুরে জ্বালানি তেল পরিবহনে যে খরচ তার থেকে নুমালীগড় থেকে নিলে কম হবে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কম হবে। বিভিন্ন কারণে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাশ্রীয় খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদান করা সম্ভব হবে। ভারতের নুমালিগড় থেকে উত্তরাঞ্চলে পাইপলাইনের মাধ্যমে যে তেল আমদানি করা হবে সেটা সরাসারি পাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র। তিনি  বলেন, ফলে চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা অঞ্চলের তেলের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। আগামী দেড় বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র যখন নির্মাণ হয়ে যাবে ভারত থেকে পাইপলাইনের তেল আসাও তখন শুরু হবে। ফলে জ্বালানি নিয়ে তাদের কোনো সঙ্কটে পড়তে হবে না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে । সাশ্রয়ি মূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য অঞ্চলভিত্তিক জ্বালানি হাব তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি মানও নিশ্চিত করা হবে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে বাংলাদেশ সরকার ৩০২ কোটি এবং পিডিবি ২১৫ কোটি টাকা দেবে। বাকি অর্থ আন্তর্জাতিক ঋণের মাধ্যমে নেয়া হবে। সিম্পল সাইকেল এই বিদ্যুৎকেেন্দ্র জার্মানির সিমেন্স কোম্পানির গ্যাস টার্বাইন ব্যবহার করা হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।