সৌরবিদ্যুতে শতভাগ সেচ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সেচ পাম্প চালানোর উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সৌর প্যানেলের খুঁটি উঁচু করে নিচে সবজি ও মাছ চাষ করা যায় কিনা- তাও খতিয়ে দেখতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে নির্দেশ দিয়ছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমে কৃষি সেচ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেচযন্ত্রের শতভাগ সৌরে চালানো আমাদের উদ্দেশ্য। এটা হয়ত কালকে পারব না, পরশুদিন পারব না, তরশুতো পারব বা পরের দিনতো পারব।
দেশে শুধু সেচযন্ত্র চালানোর জন্য বছরে প্রায় ৮১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল লাগে। সৌরশক্তি দিয়ে সব পাম্প চালানো গেলে এই বিপুল পরিমাণ তেল আর আমদানি করতে হবে না।
কেউ যদি বেসরকারিভাবে সৌরবিদ্যুতে যেতে চায়, তাকে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শুল্ক, অন্যান্য কর, ব্যয় ইত্যাদিতে ছাড় বিবেচনা করা হবে, প্রয়োজনে মওকুফও করা হবে।
সরকারি কোনও অফিসের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় কম জমি অধিগ্রহণের নির্দেশনাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে চলমান বৈদেশিক মুদ্রার সংকট সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী পাইপ লাইনে থাকা বিদেশি ঋণের অর্থ ব্যবহারের দিকে নজর দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন।
বিভিন্ন সময়ে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় দাতা সংস্থার সঙ্গে যেসব ঋণ চুক্তি হয়েছে, সময়মত তার অর্থ ব্যবহার করতে না পারায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাইপ লাইনে জমে আছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, মানুষ কষ্ট ভোগ করছে। তাদের জন্য মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে।
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আন্ডারপাস নির্মাণসহ ১৬ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ১২ হাজার ৮৭৩ কোটি ১১ লাখ টাকা।
বৈদেশিক ঋণ ১১ হাজার ৪৭২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা খরচ হবে।