হাইড্রো ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন ব্যবহার কমিয়ে আনা হবে: পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০২৫ সালে হাইড্রো ক্লোরো ফ্লোরো কার্বন (এইচসিএফসি) ব্যবহার ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে প্রায় ১৭ লাখ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমতুল্য গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ এড়ানো সম্ভব হবে। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে ওজোনস্তর রক্ষায় বাংলাদেশ সফলভাবে কাজ করছে।
‘মন্ট্রিল প্রটোকল মেনে ওজোনস্তর রক্ষা করি, নিরাপদ খাদ্য ও প্রতিষেধকের শীতল বিশ্ব গড়ি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে (১৮ই সেপ্টেম্বর) আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বসুন্ধরা করপোরেট অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী এবং ভাইস চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, ওজোন সেলের সিনিয়র অফিসার সত্যেন্দ্র কুমার পুরকায়স্থ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে পাঁচটি এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদন কোম্পানি ও একটি চিলার উৎপাদনকারী কোম্পানিকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ও শক্তি সাশ্রয়ী এসি উৎপাদন করতে পারবে। এ জন্য রেফ্রিজারেশন খাতের প্রায় ১০ হাজার টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওডিএস চোরাচালান রোধে কাস্টমস কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা এবং ওডিএস আইডেন্টিফায়ার দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নের সব ধাপ যথাসময়ে অতিক্রম করেছে এবং প্রটোকলের বাধ্যবাধকতা প্রতিপালন করছে। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ এবং ২০১৭ সালে জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশ প্রশংসিত ও পুরস্কৃত হয়েছে।