হালদা নদী দূষণের দায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, ২০ লাখ টাকা জরিমানা
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের জন্য হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট সান্ধ্যকালীন বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
ইটিপি নির্মাণ এবং অয়েল সেপারেটর কার্যকর না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বর্জ্য তেল নিঃসরণের মাধ্যমে হালদা দূষণের অভিযোগের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মোয়াজ্জম হোসাইন।
হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রর ব্যবস্থাপক শফিউদ্দিন আহমদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ মো. এরফানুল কিবরিয়া শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুক্তাদির হাসান সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকদিন আগে সরেজমিন পরিদর্শনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অপরিশোধিত বর্জ্যে নদী দূষণের প্রমাণ মিলেছে।
৮ই জুলাই হাটহাজারীর বিদ্যুৎকেন্দ্রর বর্জ্য তেলে হালদা দূষণের প্রমাণ পাওয়ায় অধিপ্তরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক কর্তৃপক্ষকে ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে শুনানিতে হাজির হতে নোটিশ দেন।
বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে হালদা নদী সংলগ্ন মরা ছড়া খালে বর্জ্য তেল ফেলার অভিযোগে হাটহাজারীর ১১ মাইল এলাকায় মরা ছড়া খাল পরিদর্শন করে ছবি তুলেন ও ভিডিও করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন।
২০১২ সালের মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর ওই বছরই দুই দফা কেন্দ্রটিকে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ওইসময় দূষণের অভিযোগে প্ল্যান্টটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও সরকারি হওয়ায় ইটিপি নির্মাণের শর্তে জরিমানা মওকুফ করা হয়। প্রায় সতের মাস আগে ইটিপির নকশার অনুমোদন নেয়া হলেও তা এখনও নির্মাণ করা হয়নি।