হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশে বৃষ্টি, লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সুন্দরবনে সতর্কতা জারি
প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, টেকনাফে ১ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১৯ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ৫৯ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৩ মিলিমিটার, ঢাকায় ১ মিলিমিটার, ভোলায় ২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ২ মিলিমিটার, মংলায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শনিবার দুপুর ১টা থেকে বন্ধ রয়েছে।
জানা যায়, ঘুণিঝড়টি রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িষ্যায় আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার। এরইমধ্যে ভারতের উপকূলের সাড়ে চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।সুন্দরবনের উপকূলবর্তী অঞ্চলে এ ঝড়ের প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ‘হুদহুদ’ নিয়ে সুন্দরবনবাসীর মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলে সর্তকর্তা জারি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের খবর পাওয়া গেছে। সাত-আট ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। বহু পর্যটক দিঘা ভ্রমণ বাতিল করে ফিরে গেছেন।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় ৩৫টি মোবাইল টিম নিয়োগ করেছে ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। –