১লা মার্চের মধ্যে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে দাম লিখতে হবে: হাইকোর্ট
গৃহস্থালিসহ হোটেল ও রেস্তোরায় ব্যবহার করা তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য আগামী ১লা মার্চের মধ্যে লিখে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (২০শে জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বাড়ার ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
জ্বালানি সচিব ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে। পাশপাশি আগামী ১লা মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন।
এর আগে, ১৩ই জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান।
রিটে এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লিখে দিতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
সে সময় এই আইনজীবী বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে যখন তখন এর দাম বাড়ানো হচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার আগেই হয়তো স্থানীয় কোম্পানিগুলো এসব গ্যাস আমদানি করেছিল। আর এখন সুযোগ পেয়ে অতিরিক্ত মুনাফা পেতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে গ্রাহককে। এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলে ভোক্তাকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে না। আর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরাও যখন তখন অযথা দাম বাড়িয়ে অসৎ উপায়ে লাভবান হতে পারবে না।