১২ গুণ দামে কেনা হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্র: ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা


চট্টগ্রাম শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২৫ লাখ টাকার মটর, পাম্পসহ কিছু যন্ত্র কেনা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১২গুণ বেশি দাম দেয়া হয়েছে। আর এজন্য ঠিকাদার ও প্রকৌশলীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামে বিভাগীয় কার্যালয়ে এ মামলা করেন।
দুদকের সিনিয়র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত জানিয়েছেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার টেক ইন্টারন্যাশনালের মালিক আব্দুল আলীম, শিকলবাহা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী ভুবন বিজয় দত্ত, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু ইউসুফ, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) এ এইচ এম কামাল, নকশা ও পরিদর্শন পরিদপ্তর-১ এর সাবেক পরিচালক মো. তোফাজ্জেল হোসেন (বর্তমানে প্রকল্প পরিচালক, গুলশান ইউনিট-৪, রি-পাওয়ারিং প্রজেক্ট, পিডিবি) ও ক্রয় পরিদপ্তরের সাবেক পরিচালক মো. আবু ইউসুফের নামে মামলা হয়েছে।
প্রয়োজন ছিল না তাও দ্রুত সময়ে তিনটে পাম্প কেনা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক কর্তৃপক্ষ।
দুদকের সিনিয়র সচিব জানান, যে পাম্প কেনা হয়েছে তা এখনও ব্যবহার হয়নি। তার মানে দ্রুত কেনার প্রয়োজন ছিল না। তাছাড়া বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে কেনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ‘অতি জরুরি বিবেচনায়’ মূল ইপিসি ঠিকাদারদের বাদ দিয়ে এবং টিইসি থেকে দর যাছাই না করে অস্বাভাবিক দামে যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। আসামিরা সরকারি অর্থ ‘আত্মসাতের উদ্দ্যেশে’ আড়াই লাখ টাকার যন্ত্রপাতি (৩০ হাজার ১৭ ইউএস ডলার) ‘জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার’ মাধ্যমে দুই কোটি ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার (তিন লাখ ৬৫ হাজার ডলার) টাকায় কিনেছে। ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা। ‘প্রয়োজন না থাকার পরও’ এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে। যন্ত্রপাতিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাণ্ডারে মজুদ রয়েছে। এখনো ব্যবহার হয়নি। অভিযোগে বলা হয়, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ইলেক্ট্রিক মটর ক্রয়ের নামে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।