২৭ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে মহাসমাবেশ
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রক্রিয়া বাতিল, এশিয়া এনার্জির বাংলাদেশ কার্যক্রম বন্ধ, গ্যারি লাইকে বিচার এবং ফুলবাড়ী চুক্তি’র পূর্ণ বাস্তবায়নসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। দাবি আদায়ে আগামী ২২ ডিসেম্বর দেশব্যাপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং ২৭ ডিসেম্বর ফুলবাড়ীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সোমবার জাতীয় কমিটি আয়োজিত মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ফুলবাড়ীর এশিয়া এনার্জি (জিসিএম) এর তৎপরতা, রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং পিএসসি ২০১৫ বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সংগঠক ও সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স। প্রকৌশলী বি.ডি রহমতউল্লাহ, রাজনীতিক খালেকুজ্জামান, সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, সাইফুল হক, টিপু বিশ্বাস, সিদ্দিকুর রহমান, শুভ্রাংশু চক্রবতী, মোশরেফা মিশু, বজলুর রশীদ ফিরোজসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ২০০৬ সালে ফুলবাড়ী থেকে এশিয়া এনার্জি বিতাড়িত হলেও চক্রান্ত থামেনি। ফুলবাড়ী আন্দোলন সংগঠকদের ওপর হামলা, নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, হুমকি, হয়রানি এবং সেইসঙ্গে সংগঠিত মিথ্যা প্রচারণা কোন কিছুই জনগণকে হঠাতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। এতে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে। জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবী অনুযায়ী ভাড়ায় আনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রর চুক্তি বাতিল করে রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু, মেরামত ও নবায়ন করা, খনিজ সম্পদ রফতানি নিষিদ্ধ করার আইন, শতভাগ গ্যাস ও কয়লা বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহার, পিএসসি প্রক্রিয়া বাতিল করে স্থলভাগে ও সমুদ্রে নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধানে জাতীয় সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া এবং বিদ্যুৎকে গণপণ্য হিসেবে বিবেচনা করার দাবি করা হয়।