৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন। ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি সই করা হয়েছে। ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা আছে।
সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনায় অর্থমন্ত্রী এতথ্য জানান।
সংসদে জানানো হয়, বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতের বড় প্রকল্পগুলোর অন্যতম রামপাল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, মাতারবাড়ি ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্টাসুপার ক্রিটিকাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং রূপপুর ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শেষে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
দেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের জন্য সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও বায়ুচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকার সব বিতরণ লাইন ও সাবস্টেশন মাটির নিচে নেয়া হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইন ২৮ হাজার কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইন ৬ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত করা হবে।
আমাদের জ্বালানির মোট চাহিদার বড় অংশ প্রাকৃতিক গ্যাসের মাধ্যমে পূরণ হয়ে থাকে। দেশে আবিস্কৃত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্রের মধ্যে বর্তমানে ২০টি উৎপাদনে রয়েছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন ছিল এক হাজার ৭৪ কোটি ৪০লাখ ঘনফুট, এই উৎপাদন বেড়ে বর্তমানে হয়েছে প্রায় ২৫২ কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট। প্রাকৃতিক গ্যাসের মোট চাহিদার বাকি অংশ এলএনজি বা লিকুইফায়েড ন্যাচারাল গ্যাস হিসেবে আমদানি করে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে ৫০ কোটি ঘনফুট করে মোট ১০০ কোটি ঘনফুট ক্ষমতার দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। আমদানি করা এলএনজি ওই দু’টি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে আবার গ্যাসে রূপান্তর করে দৈনিক গড়ে ৬০ থেকে ৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হচ্ছে। এছাড়া, এলএনজি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কক্সবাজার জেলার মাতারবাড়ি এলাকায় দৈনিক একশ’ কোটি ঘনফুট ক্ষমতার ল্যান্ড-বেইজড এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।