৭ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ
সাত ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘অদম্য বাংলাদেশ’।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এখন ১৫ হাজার মেগাওয়াট। এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আলোক উৎসব করা হবে।
মঙ্গলবার বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এসব কথা জানান। অন্যদের মধ্যে জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসেইন, পিডিবির চেয়ারম্যান খালিদ মাহমুদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহমেদ, ¯্রডোর চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক, আরইবির চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে শেখ হাসিনার সরকারের অব্যহত সাফল্য জনগণকে অবহিত করতে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ এবং জনসচেনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছে। উন্নত বিশ্বের সুযোগ সুবিধা আমাদের এখানেও করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যোগান। এ চাহিদা পুরণে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০ পর্যালোচনা করে যুগপোযোগী করে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১৬ করা হয়েছে। জ্বালানি খাতকে এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোলায় যে গ্যাস পাওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদ্যুতের কারণে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে গেছে। নতুন করে গ্যাস পাওয়া গেলে তা দেশের উন্নয়নকে আরো বেগবান করবে। তিনি বলেন, দেশের জ¦ালানি চাহিদা পুরণে সরকার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এলএনজি আমদানির জন্য এরইমধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে দেশে এলএনজি সরবরাহ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত চারদিনব্যাপী মেলায় ৪টি বিষয়ের উপর সেমিনার হবে। বিষয়গুলো হচ্ছে -কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রযুক্তি, স্মার্ট গ্রিড, এনার্জি এফিসিয়েন্সি এবং ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট প্রেক্টিস ইন পাওয়ার এন্ড এনার্জি। এতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা তাদের প্রতিবেদন ও বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
এবারের মেলায় বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ জন শিক্ষার্থী এবং ঢাকার ২০-৩০টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মেলায় উপস্থিত থাকার বিশেষ সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতা করা হয়। এরমধ্যে ১০টি প্রকল্প মেলায় প্রদর্শন করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের ৩২০টি স্টল থাকছে এবারের মেলায়। এছাড়া মেলায় প্রধানমন্ত্রী ১০টি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রের কাজের জন্য পুরস্কার দেবেন।