গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়া আর মাইলফলক কাজের সূচনার বছর
গ্যাস বিদ্যুতের দাম বাড়ার চাপের সাথে কিছু মাইলফলক কাজ শুরু হয়েছে গেল বছর। বিদ্যুৎখাতে কিছু আগালেও জ্বালানিতে বলার মত কিছুই হয়নি।
একই সাথে প্রাথমিক জ্বালানি মেটাতে উচ্চমূল্যের বছর শুরু অপেক্ষা করছে।
নতুন বছরে গেল বছরের কাজগুলোকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
বছরের প্রথমে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। আর বছরের শেষ সময়ে এসে বাড়ানো হয় বিদ্যুতের। শুরুতেই গ্যাসের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বাড়ানো হয়। আর এই দাম নিয়ে আদালত পর্যন্ত যায় ক্যাব। গ্যাসের দাম বাড়ানো নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘটনা দেশে এটাই ছিল প্রথম। ২৩ শে ফেব্রুয়ারি গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আর ২৩ শে নভেম্বর বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। যা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
বছর জুড়ে আলোচনায় ছিল শেভরণ। শেভরণ ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। পরে বছরের শেষ পর্যায়ে এসে আবার জানায় যে তারা আপাতত বাংলাদেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। অবশ্য এরমধ্যে শেভরণের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
শেভরণ না যাওয়ার সাথে ভাল খবর আসে ভোলা থেকে। ভোলার শাজবাজপুরে বাপেক্স নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কার করে। তুলনামূলক অল্প মজুদ হলেও নতুন ক্ষেত্র বলে আশার সঞ্চার হয়। এখানে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে বলে জানানো হয়েছে। বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, এখানে আরও বেশি গ্যাস মজুদ আছে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশে কমানো হয়নি। কিন্তু তেলের দাম কমানো নিয়ে আলোচনা ছিল বছরের বেশ কিছু সময়।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকবে এবছর। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। যা বাংলাদেশের জন্য মাইলফলক। বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুতের যুগে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে পটুয়াখালির পায়রাতে এবং রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট করে আমদানি করা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করার কাজ এগিয়ে চলেছে। দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সাথে ১০টা উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।