বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্থ সংগ্রহের জন্য বন্ড ছাড়া হলো। বাংলাদেশে বন্ডের মাধ্যমে বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ এই প্রথম।
রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. (এপিএসসিএল) আজ রোববার এ জন্য কয়েকটা ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে।
বাংলাদেশ ইন্ফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড, অগ্রনী ব্যাংক লি., রুপালী ব্যাংক লি., সোনালী ব্যাংক লি., উত্তরা ব্যাংক লি., সাধারণ বীমা করপোরেশন ও আইসিবি‘র সাথে এই চুক্তি হয়েছে।
এপিএসসিএল প্রাথমিক পর্যায়ে বন্ডের মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যার মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা বেসরকারি এবং ১০০ কোটি টাকা সরকারি।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ্ই চুক্তি হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি হলো কাজ করার পুজি । এটা নানাভাবে বৃদ্ধি করা যায়। এই বৃদ্ধির কাজটি বিদ্যুৎ করে।কাজের ক্ষমতা মানুষের হতে দিয়ে দিলে তারাই নির্ধারণ করবে কোথায় কাজ করলে সাফল্য আসবে। তাই বিদ্যুতের প্রসার চলমান রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, বন্ডের মাধ্যমে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটের সাথে সম্পর্ক গভির হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থায়ন সহজ হবে।আসন্ন গ্যাস বিতরণ নীতিমালায় গ্যাসের প্রাপ্যতা নিয়ে বিনিয়োগকারিদের আশাব্যাঞ্জক করে তুলবে।
বিশেষ অতিথি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে বিকল্প উৎস থেকে অর্থায়নের জন্য বন্ড ছাড়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দিনে দিনে বড় হচ্ছে। বিদেশেও শেয়ার ছাড়া যেতে পারে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিরীখে কাজ করলে এ কাজ সহজ হবে। উন্নয়নের চলমান গতি অব্যাহত রাখতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন, অর্থায়ন ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ এবং বছরে কত বিনিয়োগ লাগবে তা উল্লেখ করা হয়।
আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন লিমিটেড এর চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ ও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম সাজ্জাদুর রহমান।