রামপালসহ ৫ প্রকল্প উদ্বোধন, ৭ সমঝোতা সই
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট এবং রূপসা রেলসেতু যৌথভাবে উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী।
১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগামী মাসে উৎপাদনে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচইএল) এই নির্মাণ কাজ করছে। দেশটির এনটিপিসি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সমান অংশীদারিত্বে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। নির্মাণ ব্যয়ের দেড়শ কোটি ডলারের বড় অংশের জোগান দিচ্ছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।
খুলনা থেকে মোংলার পথে রূপসা নদীতে রেল সেতু নির্মাণের কাজ এ বছরের জুলাইয়ে শেষ হয়েছে। সংযোগ রেললাইনসহ এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার হলেও মূল রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৭১৬ মিটার।
ভারত সরকারের ঋণে নির্মিত এই সেতুর ফলে খুলনা থেকে মোংলার পথে পণ্য পরিবহনে সুবিধা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের জন্য নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি হস্তান্তর, খুলনা-দর্শনা রেলপথ এবং পার্বতীপুর-দর্শনা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
ভার্চ্যুয়ালি এসব প্রকল্প উদ্বোধনের আগে, দুই প্রধানমন্ত্রী হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে সই হওয়া সাতটি সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
৭ সমঝোতা সই
* অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে ভারত ও বাংলাদেশের পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারতের জল শক্তি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
* বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (সিএসআইআর) সঙ্গে বাংলাদেশের সিএসআইআরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই।
* বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে ভারতের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির মধ্যে সমঝোতা সই।
* ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে বাংলাদেশ রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
* বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
* ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ‘প্রসার ভারতীর’ সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমঝোতা স্মারক।
* মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ে বিটিসিএল এবং এনএসআইএল এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক।