জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে বায়ু বিদ্যুৎ
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, কক্সবাজারের খুরুশকুলের বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে জাতীয় গ্রিডে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করার জন্য প্রস্তুত।
জ্বালানি উপদেষ্টা সেদিন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পর্যটন কেন্দ্রে ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বাড়াতে সহায়তা করবে।
ইউএস-ডিকে গ্রীন এনার্জি (বিডি) লিমিটেড চীনের বিনিয়োগে আনুমানিক ১২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড প্রতি এই বিদ্যুৎ কিনে নেবে।
ইউএস-ডিকে গ্রিন এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম খান বলেন, মোট ২২টি উইন্ড টারবাইনের মধ্যে ১০টি ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে একটি টারবাইন ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। ১১০ মিটার উঁচু টাওয়ারের উপরে টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে।
জহিরুল দাবি করেন, ২০টি নতুন টারবাইন দিয়ে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার জন্য ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
একটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর করার জন্য ন্যূনতম বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রতি সেকেন্ডে প্রায় তিন মিটার বায়ু প্রবাহ প্রয়োজন। কক্সবাজার প্ল্যান্টের অবস্থান প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৫.৫ মিটার বায়ু প্রবাহ পায়, যা প্রকল্পটিকে একটি সম্ভাব্য সফলতা তৈরি করে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের জেলাটি একটি পর্যটন কেন্দ্র। জেলায় একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বভাবতই তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে আশা জাগাচ্ছে।
এরআগে কুতুবদিয়ায় এক মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার হতো। ফেণিতেও টারবাইন স্থাপন করা হয়েছিল।