রিফাইনারির জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল

স্থানীয় রিফাইনারির কাছ থেকে কেনা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
জ্বালানি-বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ বিভাগ গত সপ্তাহে দাম বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে। ২৪ মে থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে।
অকটেন প্রতি লিটার আট টাকা ৭৩ পয়সা, পেট্রল তিন টাকা ৭১ পয়সা, কেরোসিন তিন টাকা আট পয়সা ও ডিজেল দুই টাকা ছয় পয়সা বেড়েছে। অর্থাৎ অকটেন ৫৮ টাকা ২৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৬৭ টাকা, পেট্রল ৫৬ টাকা ২৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা , কেরোসিন ৫৫ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বেড়ে ৫৯ টাকা। ডিজেল ৫৫ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বেড়ে ৫৮ টাকা করা হয়েছে।
জ্বালানি তেলের এই দাম বাড়ানোর প্রভাব সাধারণ মানুষেরক্রেতাদের মধ্যে পড়বে না। এতে রিফাইনারিগুলোর মুনাফা বাড়বে। বর্তমানে দেশে ১৫টি বড় রিফাইনারি কোম্পানি রয়েছে।

পেট্রল পাম্পগুলোতে ভেজাল তেল বিক্রি বন্ধে বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কেনা জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তবে জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, পেট্রোকেমিক্যাল অ্যান্ড রিফাইন অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তাদের পরিশোধন করা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে। মূলত এর পরিপ্রেক্ষিতেই বেসরকারি রিফাইনারিগুলোর কাছ থেকে কেনা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রনালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বেসরকারি রিফাইনারিগুলোর কাছ থেকে কেনা তেলের দাম বাড়ানোর ফলে তেলে ভেজাল দেয়া বন্ধ হবে। এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা প্রতিলিটার কনডেনসেট ৪২ টাকায় কিনছে পেট্রোবাংলার কাছ থেকে। সেটা রিফাইন করে বিপিসির কাছে প্রতিলিটার পেট্রল ৫৬ টাকা ২৯ পয়সায় এবং অকটেন ৫৮ টাকা ২৭ পয়সায় বিক্রি করে। রিফাইনারি কোম্পানির প্রতিনিধিরা বৈঠকে বলেন, কনডেনসেট কিনে শোধন করে যে দামে বিপিসির কাছে তারা বিক্রি করছে, তাতে লোকসান হচ্ছে।

বেসরকারি রিফাইনারি কোম্পানিগুলো গ্যাসফিল্ড থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেট রিফাইন করে পেট্রল ও অকটেন তৈরি করে সেগুলো আবার বিপিসির কাছে বিক্রি করে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, অনেক রিফাইনারি কোম্পানি কনডেনসেট রিফাইন না করে বেশি লাভের আশায় সরাসরি পেট্রল পাম্প মালিকদের কাছে তা বিক্রি করে দেয়। আর পেট্রল পাম্পগুলো ডিজেল, অকটেন ও পেট্রলের সঙ্গে সরাসরি কনডেনসেট মেশানোর কারণে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন। বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে ভেজাল তেল সরবরাহ করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসটিআই ও বিপিসি সম্প্রতি বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে অভিযান চালিয়ে ভেজাল তেল বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে।