গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া শুরু: এলএনজি টার্মিনালের অনুস্বাক্ষর

গ্যাস আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করল বাংলাদেশ। তরল আকারে সমুদ্রপথে এই গ্যাস আমদানি করা হবে। পরে তা আবার গ্যাসে রূপান্তর করে পাইপে বিতরণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের প্রাথমিক চুক্তি করা হয়েছে। টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শেষ হয়ে ২০১৬ সালে এই পথে গ্যাস আমদানি সম্ভব হবে।
এস্ট্রো ওয়েল এবং এক্সিলারেট এনার্জি যৌথভাবে তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল স্থাপন করবে। প্রতিদিন এই টার্মিনাল দিয়ে ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাস আমদানি করা যাবে।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার পেট্রোসেন্টারে পেট্রোবাংলার সাথে ঐ দুই কোম্পানির প্রাথমিক বা অনুস্বাক্ষর হয়েছে। আগামী চার মাস প্রতিষ্ঠানটি অবহাওয়া ও অবস্থানহ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে। ডিসেম্বরে চূড়ান্ত চুক্তি হবে। টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য ১৫ বছরের চুক্তি করবে পেট্রোবাংলা। এই টার্মিনালের মাধ্যমে তরল গ্যাসকে আবার স্বাভাবিক মাত্রায় এনে পাইপে দেয়া হবে। এই পুনঃগ্যাস করতে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য ৪৭ সেন্ট করে নেবে। এই ৪৭ সেন্টের মধ্যে অন্য পরিচালনা খরচও ধরা হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সনরুল হামিদ, জ্বলানি বিভাগের সচিব মো. মোজ্জাম্মেল হক খান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, তিন উপায়ে আমরা দেশের জ্বালানি ব্যবস্থাপনা করতে চাই। দেশের জ্বালানির ব্যবহার করে, বিদেশ থেকে আমদানি করে এবং দেশের গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীতে গ্যাসের বর্তমান দাম থাকবে না। এই দাম বাড়তে থাকবে। এই উচ্চমূল্যের গ্যাস আবাসিক কাজে দিলে হবে না। অনুৎপাদনশীল খাতে না দিয়ে উৎপাদনশীল খাতে এই গ্যাস ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ কৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ অনুযায়ি এই এই টার্মিনাল হচ্ছে। মহেশখালীতে এ টার্মিনাল নির্মাণে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি। ডিসেম্বরে চূড়ান্ত চুক্তি হলে নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরো ১৬ মাস সময় লাগবে।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পেট্রোবাংলার সচিব ইমাম হোসেন ও এক্সিলারেট এনার্জির প্রতিনিধি স্যাম্পো সুভিসারি।
বর্তমান বাজার দরে এলএনজির প্রতি ইউনিট আমদানীতে খরচ পড়বে ১৪ থেকে ১৬ ডলার।