সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ বরিশালে, বেশি ঢাকায়
বড় বা বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ দেয়া হয় বরিশাল। এরপর সবচেয়ে কম দেয়া হয় সিলেটে। সিলেটের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় রংপুরে। সারাদেশে যে বিদ্যুৎ দেয়া হয় তার অর্ধেকের একটু কম দেয়া হয় শুধু ঢাকাতে।
সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ তালিকা পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ১৮ই এপ্রিল রাত আটটার সময়ের চিত্র এটি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবি) ও বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এর কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে নয় হাজার ২১২ মেগাওয়াট। এক সাথে এপর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন। এরমধ্যে ৫৭৯ মেগাওয়াট ব্যবহার হয়েছে সঞ্চালনে, কিছু অপচয়ও আছে। অর্থাৎ গ্রাহক পর্যায়ে আট হাজার ৬৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
সরবরাহ করা বিদ্যুতের মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে তিন হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াট। যা মোট সরবরাহের ৩৯ শতাংশ। সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে বরিশাল অঞ্চলে, ১৮৯ মেগাওয়াট। যা মোট সরবরাহের মাত্র দুই দশমিক ১৮ শতাংশ।
মোট সরবরাহের মধ্যে ঢাকার পরে খুলনায় দেয়া হয়েছে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ। এসময় খুলনায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে এক হাজার ৬৪ মেগাওয়াট। যা মোট সরবরাহের ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়েছে ৯৩৮ মেগাওয়াট বা ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
এছাড়া রাজশাহী অঞ্চলে দেয়া হয়েছে ৮৯৪ মেগাওয়াট বা ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ,
কুমিল্লায় ৭৮১ মেগাওয়াট বা নয় দশমিক ০৯ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫৫৫ মেগাওয়াট বা ছয় দশমিক ৪২ শতাংশ, রংপুর অঞ্চলে ৪১৫ মেগাওয়াট বা চার দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সিলেট অঞ্চলে দেয়া হয়েছে ৩৫০ মেগাওয়াট বা চার দশমিক ০৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ঠ একজন প্রকৌশলি জানান, যে অঞ্চলের ধারণ ক্ষমতা যেমন সেখানে তেমনই সরবরাহ করা হয়েছে। ঐ দিন কোন লোডশেডিং ছিল না। চাহিদা মত সকল অঞ্চলে বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে। খুলনার চেয়ে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ কম ব্যবহার হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা দুটো আলাদা অঞ্চল ভাগ করা হয়েছে। ফলে আগের চট্টগ্রামের একটা অংশ কুমিল্লার মধ্যে আছে। তাছাড়া চট্টগ্রামের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।