রামপালে কয়লা নিতে নদী খনন: বাংলাদেশ-ভারত চুক্তি

রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা নিতে নদী খনন করা হচ্ছে। এজন্য ভারত বাংলাদেশ চুক্তি হয়েছে।
রোববার মংলা বন্দরে এই চুক্তি হয়। মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে  ভারতের ড্রেজিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের মধ্যে এই চুক্তি হয়। এসময় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান, প্রকল্প কর্মকর্তা শওকত আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার দিবাঞ্জন রায় ও ভারতের ড্রেজিং কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রী রাজেস ত্রিপথি উপস্থিত ছিলেন।

ইউনেস্কোর দেয়া শর্ত বাস্তবায়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজও চলবে। সরকারের এই বক্তব্যের পর ওই কেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহনে নৌপথ সচল রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য মংলা বন্দরের নয় নম্বর জেটি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। আগামী মাস থেকে এই খনন শুরু হবে। নদী খননের জন্য প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৯ কোটি টাকা।
দিবাঞ্জন রায় বলেন, বাংলাদেশে ভারত আরো বিনিয়োগ করবে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়লা পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ নৌপথটি সচল রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নৌপথ সচল হলে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা পরিবহনসহ বন্দরে বড় বড় জাহাজ আসবে। এতে বন্দরের আয়ও বাড়বে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে খনন শেষ হবে।
এদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, বঙ্গোপসাগর ও পশুর নদী খননের ফলে সৃষ্ট পরিবেশের হুমকিগুলোর বিষয়ে সরকার পর্যাপ্ত মূল্যায়ন করেনি। সেগুলি নিরসন ও কমানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিকল্পনাও নেয়া হয়নি। খনন করা পলি-কাদা কোথায় রাখা হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। খননের ফলে জলজ প্রজাতিগুলোর ওপর কি প্রভাব পড়বে তাও মূল্যায়ন করা হয়নি।
সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে নির্মাণ করছে।
২০১৬ সালের জুন মাসে ১টা কোম্পানি এই খনন কাজ করার আগ্রহ দেখায়। এরমধ্যে ৫টা কোম্পানিকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়।