ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ দিলেন জনপ্রশাসন সচিব
ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ দিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান। সরকারি বাসায় থেকেই তাকে বাড়তি বিল দিতে হচ্ছে।
জনপ্রশাসন দিবসের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আজ রোববার রাজধানীর বিদ্যুৎভবনের মুক্তি হলে বিদ্যুৎ বিভাগ এই আলোচনার আয়োজন করে। বিদ্যুতের ডিজিটাল সেবা বিষয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
তৌফিক ই ইলাহী বলেন, সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। সরকারি সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এখন আর আগের সময় নেই। প্রশাসন হবে জনবান্ধব। সাধারণ মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করে সেবা দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন অনেক কঠিন। সবাইকে সন্তুষ্ট রেখে সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করা অন্য যেকোনো পেশার চেয়ে কঠিন। এই কঠিন কাজটিই করতে হচ্ছে, হবে।
পরে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে। তাই দেশের বাজারে নিয়ন্ত্রত্রিতভাবে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ করে মোজাম্মেল হক বলেন, মাসে বিদ্যুৎ বিল হয় ছয় হাজার টাকা। কিন্তু এমাসে হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। আর আগে বেসরকারি বাসায় ছিলাম সেখানে বিল হতো মাসে দুই হাজার টাকা। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি সংশ্লিষ্ঠদেরকে তিনি দক্ষতার সাথে কাজ করার আহবান জানান।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, শুধু চাকরি করলে হবে না। জনগণের অর্থে বেতন হচ্ছে। তাই জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি চাকরিতে এখন আগের থেকে সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি তাই সেবার দিকে মনোযোগ বেশি দিতে হবে। মোজাম্মেল হক খানের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সচিব সরকারি কর্মকর্তাদের অভিভাবক। তিনি অভিভাবকের মতই ঘাটতিটা দেখিয়েছেন। আমরাও জানি, ঘাটতিটা কোথায়। সরকারি সেবা কার্যক্রমে আরো দক্ষতা ও আন্তরিকতা বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিডিবি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন।