উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে পিডিবি!
লোডশেডিং এর মধ্যে উৎপাদন ক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসিয়ে রেখে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে পিডিবি। সববিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করা গেলে গড়ে সাড়ে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। কিন্তু পিডিবি নয় হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না।
রোববার বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সরবরাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ তথ্য উঠে আসে। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ছাড়াও উৎপাদন, সঞ্চালন এবং বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে পিডিবি জানায়, এখন উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার ২৭৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে নানা কারণে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসে আছে। এ হিসেবে উৎপাদনে থাকার কথা ৯ হাজার ৭৭৮ মেগাওয়াট। কিন্তু পিডিবি বলছে আশুগঞ্জে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়া টাওয়ারের জন্য তারা ৩০০ মেগাওয়াট সরবরাহ করতে পারছে না। এরপরও উৎপাদন করার কথা ৯ হাজার ৪৭৮ মেগাওয়াট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পিডিবি ৯ হাজার ৪৭৯ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করতে পারেনি।
বৈঠকে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার জন্য সবাইকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, চাহিদা বিশ্লেষণ করে উৎপাদন পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে হবে। যা অনেক ক্ষেত্রেই করা হচ্ছে না। সারাদেশে আরইবি বছরে ৩৬ লাখ নতুন সংযোগ দিচ্ছে এর জন্য বিপুল পরিমানে বিদ্যুৎ দরকার। আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে যে পরিমান বিদ্যুৎ দরকার তার চাহিদা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ি উৎপাদন করার নির্দেশ দেন তিনি।
বৈঠকে পিজিসিবির তরফ থেকে জানানো হয়, আশুগঞ্জে ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার টাওয়ার আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংস্কার শেষ হবে। এতে আরো ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বেশি সঞ্চালন সম্ভব হবে।
দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার ১৭৯ মেগাওয়াট। এরমধ্যে বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ১২ হাজার ৫৭৮ মেগাওয়াট।