ত্রিদেশীয় গ্যাস পাইপলাইনে যুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় গ্যাস পাইপলাইন ট্যাপিতে যুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করতে তুর্কিমেনিস্তানকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুর্কিমেনিস্তানের নন রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত পারাখাত দুর্দোয়েভ রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ অনুরোধ করেন।
তুর্কি থেকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান-ভারত (ট্যাপি) পর্যন্ত আসা পাইপলাইনে বাংলাদেশ অনেক দিন থেকেই যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে আশ্বাস মিললেও বাংলাদেশের সংযুক্ত হওয়ার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার হয়নি। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত জানান, ত্রিদেশীয় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে আগ্রহী তার দেশ। রাষ্ট্রদূত ট্যাপি প্রকল্পে অংশগ্রহণে বাংলাদেশের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিষয় নিয়ে দু’দেশের আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে তুর্কিমেনিস্তানের গ্যাস চীন হয়ে হংকং যাচ্ছে। সিএনজিও আফগানিস্তান, ইরান, চীনে দেয়া হচ্ছে। ট্যাপির কাজও এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, উৎপাদন ও সঞ্চালনে তুর্কিমেনিস্তানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী, এ সময় বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ট্যাপি গ্যাস সঞ্চালন লাইনটি এ অঞ্চলে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উšে§াচন করবে। আমরা এ লাইনটিতে অংশ গ্রহণ করতে আগ্রহী। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রচুর গ্যাস প্রয়োজন। ট্যাপির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট টাইমলাইন পেলে গ্যাস মাস্টার প্ল্যানে এটাকে সংযুক্ত করা যেতে পারে।
২০১৫ সালের জুন থেকে ট্যাপি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৯ সালের মধ্যে এই পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস আমদানি শুরু করা যাবে। এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে কমপক্ষে এক দশমিক ২ সিটিএফ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।