বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ স্টেয়ারিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব
এবার মিয়ানমারের সঙ্গে আন্ত:দেশীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে আগ্রহ দেখিয়েছে মিয়ানমার। এজন্য দেশটির পক্ষ থেকে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্র“প গঠনের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়।
আজ সোমবার মিয়ানমার সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী ইউ উইং খাইং এর সঙ্গে বৈঠকে ওই প্রস্তাব দেয়। এ সময় প্রতিবেশী দেশটি থেকে গ্যাস কেনার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিয়ানমারের নাই পাই তাউ এ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিদ্যু, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। অপরদিকে বৈঠকে মিয়ানমারের জ্বালানি মন্ত্রী ইউ উইং খাইং সহ সাতজন প্রতিনিধি অংশ নেন। মিয়ানমারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপমন্ত্রী ড. তুন লাইং এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার আলোচনার পর সম্প্রতি গ্যাস সেক্টর মাষ্টার প্ল্যানের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ভবিষ্যত জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘœ করতে মিয়ানমারের কাছ থেকে গ্যাস কেনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বৈঠকে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সহযোগিতা বাড়ানো সম্ভব হলে উভয় দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি আরো মজবুত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সেতু-বন্ধন হতে পারে। বিদ্যুৎ বিনিময় প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে।
বৈঠকে মিয়ানমারকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস রপ্তানি করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-মায়ানমার একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এ ধরনের কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি আলোচনা করে দুই দেশের সম্ভবনাময় খাত নির্ধারণ করার পাশাপাশি কর্মপন্থা নির্ধারণ করে। পরে দুই দেশের সরকার পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এসব বিষয় চুড়ান্ত করা হয়।
বৈঠকে মিয়ানমারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী ইউ উইং খাইং বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিনিময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।