বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের শুনানী শুরু হচ্ছে আজ
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের গণশুনানী শুরু হচ্ছে আজ সোমবার।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিজ কার্যালয়ে এই শুনানী করবে। শুনানির পর বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেবে বিইআরসি। ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত পাইকারি ও সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে দাম নির্ধারণের ওপর গণশুনানি হবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবি) প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা (১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব করে। আর মার্চ ও এপ্রিলে ৬ বিতরণ কোম্পানি সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে ছয় থেকে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়।
২৫ ও ২৬ শে সেপ্টেম্বর বিউবি’র পাইকারি ও সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ের দাম নিয়ে শুনানি হবে। ২৭ শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) শুনানী। আরইবি ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ২৮ শে সেপ্টেম্বর ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) শুনানী। ডিপিডিসি ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। ডেসকোর শুনানী ২রা অক্টোবর। তাদের প্রস্তাব ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ দাম বাড়ানোর। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) ১০ দশমিক ৩৬ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদনের শুনানি ৩ রা অক্টোবর। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জন্য নবগঠিত কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি প্রতি ইউনিটে ১ টাকা ২৫ পয়সা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। তাদের গণশুনানির ৪ ঠা অক্টোবর।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে পিডিবি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রি করে ৪ টাকা ৮৭ পয়সা (পাইকারি দাম)। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন খরচ ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। সঞ্চালন ও বিতরণ খরচ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে ৬ টাকা ৭৩ পয়সা দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করে বিতরণ কোম্পানিগুলো। দাম ছাড়াও কয়েকটি বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি মিটারে মাসে ৩০ টাকা ডিমান্ড চার্জ ও ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয় গ্রাহকদের। এটি বাড়িয়ে যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ২০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।