ভারত থেকে আরো ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানিতে উন্মুক্ত দরপত্রের সম্মতি

ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির দরপত্র উন্মুক্ত করতে সম্মতি দিয়েছে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ত্রয়োদশ সভায়
ভারতের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সম্মতি দেয়া হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন
ভারতের বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।
বর্তমানে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করে। এরমধ্যে ২৫০ মেগাওয়াট সরকারি এবং ২৫০ মেগাওয়াট বেসরকারি খাত থেকে আমদানি করা হয়।
বেসরকারীখাতের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য প্রথম তিন বছরের চুক্তি ছিল। এখন বাংলাদেশ এই বিদ্যুৎ আমদানির জন্য দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করতে আগ্রহী।
যার দরপত্র আহ্বান করেছিল পিডিবি। এই দরপত্র উš§ুক্ত করার জন্য ভারতের সম্মতির দরকার ছিল।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ এর মধ্যে ভারত থেকে আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। একইসঙ্গে ভেড়ামারা সাব-স্টেশনের ক্ষমতা
বাড়ানোর কাজ চলছে। এরআগেই ভারত সরকার আরো ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে নীতিগম সম্মতি দিয়েছিল।
এছাড়া বৈঠকে রামপালে বাস্তবায়নাধীন মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানির মাধ্যমে
রামপাল বি-ব্লকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় ভেড়ামারা ও ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আমদানির বর্তমান অবস্থা, সূর্যমনি-কুমিল্লা নর্থ লিংকের মাধ্যমে জি টু জি এর আওতায় এনটিপিসি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে আরো ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি,
কাটিহার-পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-বরানগর৭৬৫ কেভি গ্রিড ইন্টারকানেকশন ও বহরমপুর-ভেড়ামারা ৪০০ কেভি ২য় ইন্টারকানেকশন বাস্তবায়ন ও স–র্যনগর-কুমিল্লা
নর্থ লিংকের মাধ্যমে আরো বিদ্যুৎ আমদানির জন্য কুমিল্লায় ব্যাক টু ব্যাক এইচভিডিসি সাব-স্টেশন নির্মাণের সম্ভাবনাসহ বিদ্যুতের ক্রস বর্ডার ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।