জ্বালানি তেল ও গ্যাস ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত নতুন সমঝোতা
জ্বালানি তেল ও গ্যাস ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ভারতের সাথে নতুন সমঝোতা হয়েছে।
রোববার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধি দল যৌথ পরামর্শক কমিশনের এই চতুর্থ সভায় অংশ নেয়। এই সভায় দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়।
বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তাই ভারত বাংলাদেশকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এই পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হবে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে শিগগিরই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। নেপালের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে ভারত।
এখন যে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করছে, তার বাইরে আরও ৩৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ত্রিপুরা থেকে কুমিল্লা গ্রিডে সরবরাহ করতে তারা সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।
ভারত থেকে বার্ষিক আড়াই লাখ থেকে চার লাখ টন ডিজেল পাইপলাইনে আমদানি করা হবে। ভারতের আসামের নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে এ তেল আনা হবে।
সভায় তিস্তার পানি বন্টন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়
এছাড়া ঢাকা-চেন্নাই-কলম্বো বিমান চলাচল, চট্টগ্রাম-কলকাতা-কলম্বো জাহাজ চলাচল, পঞ্চগড়-শিলিগুড়ি রেল যোগাযোগ, ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে ভুটানের সঙ্গে ইন্টারনেট যোগাযোগ, বাংলাদেশের নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে ভারতের ডলু হয়ে ভুটানের গাইলেফুং স্থলবন্দরের সঙ্গে বাণিজ্য যোগাযোগের কথা রয়েছে ওই প্রস্তাবে।