প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
প্রিপেইড মিটার গ্রাহকরা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানালেন সয়ং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। দ্রুত এ হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার বিদ্যুৎ বিভাগের এক বৈঠকে এবিষয়ে আলোচনা করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি বিল নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বর্তমানে দুই কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের মধ্যে চার লাখ ৩৩ হাজার প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন।
সূত্র জানায়, কোন কোন স্থানে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিআইরসি) নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখার অভিযোগ উঠে। আর তা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাহককে হয়রানি থেকে মুক্তি দিতেই প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। কিন্তু উল্টো গ্রাহক হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন। এভাবে চলতে পারে না। তিনি বলেন, প্রিপেইড মিটারে বিল দেওয়া সহজ করার জন্য অ্যাপস তৈরি করতে হবে। যাতে গ্রাহক ঘরে বসেই বিল দিতে পারেন। অনেকক্ষেত্রেই গ্রাহক দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর বলা হচ্ছে সার্ভার নষ্ট বিল নেওয়া সম্ভব না। এধরণের কথা বলা যাবে না।
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি বিআইরসি’র বেঁধে দেয়া মূল্যহারের বাইরে অতিরিক্ত বিল আদায় করা যাবে না বলে নির্দেশ দেয়া হয়।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব ড.আহমেদ কায়কাউস, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনসহ সব কোম্পানি এবং সংস্থা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, অতিরিক্ত বিল আদায় করার বিষয়ে বিতরণ কোম্পানিকে বৈঠকে প্রশ্ন করা হয়। তাদের বলা হয়, কোনও ক্রমেই বিতরণ কোম্পানি বিইআরসি নির্ধারণ করা দামের বাইরে গিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায় করতে পারে না। তবে বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। তারা অতিরিক্ত বিল আদায় করেন না বলে দাবি করেন।