জ্বালানি আর সস্তায় সম্ভব নয় – বিইআরসি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, সস্তায় আর জ্বালানি দেয়া সম্ভব হবেনা । এলএনজি এলেই গ্যাসের দাম বাড়বে । তবে এখাতে আগের মতই ভর্তূকি থাকবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় তিনি একথা বলেন। রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, জ্বালানি সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীসহ অন্যরা বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআরসির সদস্য (বিদ্যুৎ) মো. মিজানুর রহমান। প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের অধ্যাপক ম তামিম, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আহমেদ কায়কাউস, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানসহ অন্যরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভর্তুকী দিয়ে গ্যাসের দাম সহনীয় রাখার চেষ্টা করা হবে । তবে এলএনজি আসলে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকবে না ।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বিইআরসি কোনো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়। এটি নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মতো স্বাধীন নয়। তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের উন্নত হতে হবে। তাহলে চিন্তা, মননশীলতা—সবদিক দিয়েই উন্নত হতে হবে। খয়েরখাঁ হয়ে থাকলে চলবে না। কম দামে বিদ্যুৎ কীভাবে উৎপাদিত হয়, এগুলো বিইআরসিকে দেখতে হবে।
২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬ বছর পার করেছে । বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের লাইসেন্স দেয়া, গণশুনানীর মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম নির্ধারণ, জ্বালানিখাতের বিরোধ নিস্পত্তিসহ বিদ্যুৎ-জ্বালানিখাতের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এই কমিশন গঠন করা হয়।
বক্তারা বলেন, কমিশনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে গ্রাহকের অধিকার নিশ্চিত হবে। এলএনজি’র ব্যবহার বাড়লে তার দাম নিয়ন্ত্রন করা হবে কমিশনের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ।