বিদ্যুতে আরও পাঁচ বছর ভর্তূকি দেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী

‘ট্রন্সফরমিং দ্যা পাওয়ার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হচ্ছে।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎখাতে আরও পাঁচ বছর ভর্তূকি দেয়া হবে। উচ্চমূল্যের জ্বালানির ব্যবহার শুরু হলেও সরকার এখাতে ভর্তূকি দেবে। কম খরচে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় সে দিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
রাজধানীর হোটেল সোনারহাওঁ- এ বিদ্যুৎ নিয়ে এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
প্রাইজ ওয়াটার হাউস কোপারর্স বাংলাদেশ (পিডব্লিউসি), প্রাইজ ওয়াটার হাউস কোপারর্স ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ ইন্ডিপেনন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার এসোসিয়েশন (বিপপা) এই আলোচনার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিডার চেয়ারম্যান কাজী আমিনুল ইসলাম, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বিপপা’র প্রেসিডেন্ট লতিফ খান, পিডব্লিউসি বাংলাদেশ এর ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ, পিডব্লিউসি ইন্ডিয়া’র পার্টনার যুগেষ দারুকা উপস্থিত ছিলেন।

রাজধানীর হোটেল সোনারহাওঁ- এ পিডব্লিউসি ও বিপপা আয়োজিত আলোচনায় বক্তারা
রাজধানীর হোটেল সোনারহাওঁ- এ পিডব্লিউসি ও বিপপা আয়োজিত আলোচনায় বক্তারা

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎখাতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে সরকার। যার অংশ হিসেবেই ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, শহরাঞ্চলে বিদ্যুতের চাহিদা আগের তুলনায় ২০ ভাগ বেড়েছে। শতভাগ সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাশ্রয়ী হওয়ার দিকেও নজর দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জমির দাম বাড়ায় চাহিদামতো উপকেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব হচ্ছেনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্পন্ন সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। শুধু সংযোগেই গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, এর পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতি করে মানসম্পন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন বেসরকারিভাবে হচ্ছে। সঞ্চালন লাইনও বেসরকারিভাবে নির্মাণের চিন্তা ভাবনা আছে। বিভিন্ন জ্বালানি থেকে উৎপাদন হওয়া বিদ্যুৎ গ্রিডে যোগ হলে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা এখনই নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে ‘ট্রন্সফরমিং দ্যা পাওয়ার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।