বড়পুকুরিয়ার কয়লা নিয়ে তদন্ত শুরু: দুদকের কমিটি, মামলার নির্দেশ

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লার মজুদ ও পরিমান পরীক্ষায় গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

এদিকে অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের নিজস্ব কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বড়পুকুরিয়ার কয়লা নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছি। প্রয়োজনে আইন শৃংখলাবাহিনী দিয়ে তদন্ত করা হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই বোঝা যাবে কী হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে তিন দিনের সময় দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে তোলা কয়লার মজুদের হিসাবে গড়মিল দেখা দিয়েছে।

এঘটনায় ১৯ ‍শে জুলাই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ
দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কয়লার হিসাব দিতে না পারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজন্য তিন সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় পেট্রোবাংলার পরিচালক কামরুজ্জামানকে।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি

এদিকে হাবিব উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিনে এই কয়লা কমেছে। এটা এক দিনের বিষয় নয়।যে পরিমাণ কয়লা পাওয়া যাচ্ছে না তা সিস্টেমলস। গত ১১ বছরে এক কোটি ১০ লাখ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এর মধ্যে দেড় শতাংশ হিসেবে প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা সিস্টেমলস হয়েছে। রোদে পুড়ে, বাতাসে উড়ে, পানিতে ভিজে, মাটিতে মিশে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে এই সিস্টেমলস হয়ে থাকে। এখনও অনেক কয়লা রয়েছে যা মাটিযুক্ত। এর আগে মজুদাগার কখনই খালি না হওয়ায় তারা এই সিস্টেমলসের বিষয়টি বুঝতে পারেননি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই লসের পরিমাণ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বলে জানান তিনি।
পে্ট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিষয়ে বলেন, সিস্টেম লসের কথা আগে বলেনি কেন? পরিদর্শনের পর ধরা পড়ার পর এই কথা বললে হবে? এটা তো গ্যাস না, যে উড়ে যাবে!

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি

১৬ই জুন থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন বন্ধ আছে। কয়লা উত্তোলন শুরু হবে আগামী আগস্ট মাসের শেষের দিকে। এই সময়ের মধ্যে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কয়লার মজুদ রয়েছে বলে গত ২০শে জুন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবিকে নিশ্চিত করে খনি কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয় মজুদাগারে এক লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ ৪-৫ দিন আগে পিডিবিকে জানায় কয়লার মজুদ শেষ পর্যায়ে। সেখানে বর্তমানে দেড় লাখ টন কয়লা মজুদ থাকার কথা থাকলেও আছে ৭ থেকে ৮ হাজার টন। বাকি এক লাখ ৪২ হাজার টন কয়লার কোনো হিসাব নেই।

boropukuria coal mine1