বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, বিদ্যুৎ জ্বালানির দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। মানুষের কাছে সহনীয় করে এই দাম সমন্বয় করা হবে। দ্রুতই বিইআরসি এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নেট মিটারিং: সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানিখাত অনেক এগিয়েছে। ভবিষ্যতে এই ধারা ধরে রাখতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে এই উন্নয়ন আরও ভূমিকা রাখবে।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ (এফইআরবি) ও সোলার মডিউল ম্যান্যুফ্যাক্চারিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এসএমএমএবি) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ শিল্পে ব্যবহার করা যাবে। নেট মিটারিং ব্যবস্থা সংযোগ করলে গ্রাহক নিজেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবহারকারি হবেন। উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে দিয়ে আর্থিক সুবিধা পেতে পাবেন। এতে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানির প্রসার হবে। এভাবে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে শতভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
সভাপতিত্ব করেন এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। বক্তব্য রাখেন, এসএমএমএবি এর সভাপতি মনোয়ার মেসবাহ মঈন, সোলার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি আব্দুল হালিম মৃধা, নেসকোর নির্বাহি পরিচালক আব্দুস সবুর, রয়টার্স এর বাংলাদেশ ব্যুরো প্রধান সিরাজুল ইসলাম কাদির, এফইআরবি ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রিপন ও নির্বাহি পরিচালক সদরুল হাসান।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারি অধ্যাপক শাকিলা আজিজ।
এরমধ্যে সৌর থেকে হবে ২৫ ভাগ, কৃষি সৌর থেকে ২০ ভাগ, ছাদের সৌর থেকে ১৫ ভাগ, পরমাণু থেকে ১০ ভাগ, বায়োগ্যাস থেকে পাঁচভাগ এবং বাতাস থেকে পাঁচভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।