বিদ্যুতের সাফল্য ধরে রাখতে হবে – সালমান এফ রহমান
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, গত দশ বছরের অর্জন অবিশ্বাস্য । এটার মূলে রয়েছে বিদ্যুৎ। এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে। মাইন্ড সেট পরিবর্তন করে ডাবল ডিজিটের প্রবৃদ্ধির হার অর্জন করার যে উদ্যোগ সরকার নিয়েছে তা সম্মিলিত ও সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোববার ওয়েস্টিন হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত ’বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য: গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে ৭০ বিলিয়ন ডলার ও জ্বালানি খাতে ৪০ বিলিয়ন ডলার লাগবে। পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকেও অর্থায়ন করা হচ্ছে। সরকারের প্রতি বহিবিশ্বের আস্থা বাড়ছে- এটা ধরে রেখে আরো বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, নেট মিটারিং পদ্ধতি জনপ্রিয় করতে পারলে ব্যবহারকারিই লাভবান হবে। সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) বাস্তবায়িত হলে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঢাকায় তেল পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়িত হলে সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।
প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, বৈশ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগের যে আস্থা তৈরি হয়েছে ব্যবসায়িদের উচিত তা গতিশীল করা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিকল্পিত এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়া হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বিদ্যুৎ খাতে অতিত বর্তমান ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ছিল ৬১ তম অর্থনীতির দেশ, ২০১৮ তে তা বেড়ে হয়েছে ৪২ তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে ২৩ তম অর্থনীতির দেশ। এটার জন্য প্রয়োজন প্রতিবছর ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ। অবশ্য যেভাবে দেশ এগুচ্ছে তাতে ২০৪১ সালের পূর্বেই এটা অর্জন করা সম্ভব হবে।
এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্রেডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, আরইবি‘র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন ও পিডিবি’র চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বক্তব্য দেন।