বাখরাবাদ ক্ষেত্রে বন্ধ থাকা কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু

বাখরাবাদ ক্ষেত্রে বন্ধ থাকা কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হয়েছে। আজ বৃহষ্পতিবার এই উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রের এক নম্বর কূপ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। কূপে সফলভাবে মেরামতের কাজ শেষ হওয়ায় বুধবার থেকে আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

এখান থেকে জাতীয় গ্রীডে দৈনিক প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। কূপ মুখে প্রায় এক হাজার ৯৫০ পিএসআই (পাউন্ড প্রতি বর্গ ইঞ্চি) গ্যাস প্রবাহের চাপ আছে।

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানী লিমিটেড এর ‘তিতাস, হবিগঞ্জ, নরসিংদী ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডে ৭টি কূপের ওয়ার্কওভার’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই কূপের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই কূপ রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হয়।

বাখরাবাদ ১ নং অনুসন্ধান কূপটি তৎকালীন পাকিস্তান শেল অয়েল লিমেটেড ১৯৬৮ সালে মাটির নিচে দুই হাজার ৮৩৮ মিটার পর্যন্ত খনন করে। এক হাজার ৭৮৯ মিটার থেকে দুই হাজার ৫০০ মিটার গভীরতার মধ্যে মূখ্য ও গৌণ ক্যাটাগরীর মোট ১০ টি (এ, বি, সি, ডি, ই, এফ, জি, জে, কে এবং এল) আলাদা আলাদা গ্যাস স্তরের অস্তিত্ব খুঁজে পায়। খনন পর্যায়ে গ্যাস স্তরের কয়েকটি থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন (ডিএসটি) পরিচালনা করা হয়। পরে কূপটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীকালে, ১৯৮১ সালে কূপটিতে প্রথম ওয়ার্কওভার শেষ করে ঔ গ্যাস স্যান্ড স্তর থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ তিন কোটি ৩০ হাজার ঘনফুট হারে জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছিল। অতিরিক্ত পানি উৎপাদন এবং চাপ কমার কারণে ২০১৫ সালে এখান থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। উৎপাদন বন্ধ থাকা কূপগুলো আবার উৎপাদনে আনার সম্ভাব্যতার বিষয়ে পেট্রোবাংলা গঠিত কারিগরী কমিটি বাখরাবাদ ১ নং কূপটি এক হাজার ৯৫০ মিটার থেকে এক হাজার ৯৭০ মিটার গভীরতায় বিদ্যমান ড্রপার স্যান্ড এ ওয়ার্কওভার /পুনঃসম্পাদনের সুপারিশ করে। ড্রপার স্যান্ড জোনের উত্তোলনযোগ্য মজুদ প্রায় ১১১ বিসিএফ। এর ৮০ শতাংশ উত্তোলনযোগ্য বিবেচনায় এ কূপ হতে ৮৮ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। প্রকল্পের আওতায় সংশ্লিষ্ট দেশী এবং বিদেশী কারগরী জনবলের সহায়তায় ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে ৫০ বছরের বেশি পুরাতন কূপটিতে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি জটিলতা নিরসন করে ড্রপার স্যান্ড এ ওয়ার্কওভার /পুনঃসম্পাদন করে আবার উৎপাদনে আনা সম্ভব হয়।

এছ্ড়া্ও কূপটি ওয়ার্কওভারের সময় দুই হাজার মিটার থেকে ২০০৬ মিটার গভীরতায় বিদ্যমান ড্রপার স্যান্ড স্তরে আরেকটি পরীক্ষামূলক উৎপাদন পরিচালনা করা হলে দৈনিক প্রায় এক কোটি ঘনফুট হারে গ্যাস প্রবাহ পাওয়া যায়। যা থেকে ভবিষ্যতে গ্যাস উৎপাদন করা যাবে।