বিদ্যুৎ জ্বালানিতে ১৯ হাজার ১০০ কোটি ভর্তূকি ও ঋণ
বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ১৯ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তূকি ও নগদ ঋণ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে বিদ্যুতে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ আর জ্বালানিখাতে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তূকি।
জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা ২০১৯-২০ অর্থবছর বাজেটে এই ভর্তূকি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে বিদ্যুৎখাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর জন্য ভর্তূকি হিসাবে রাখা হয়নি। নগদ ঋণ হিসেবে রাখা হয়েছে।
এবার বাজেট প্রস্তাবে সরাসরি শুধু দুটো খাতে ভর্তূকি প্রস্তাব করা হয়েছে। খাদ্য আর জ্বালানি। খাদ্যে তিন হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। আর বাকিটা গ্যাস খাতে নয় হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য গ্যাসে এই ভর্তূকি দেয়া হয়েছে। এবার গ্যাসখাতে ভর্তূকি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর গ্যাসে ভর্তূকি ছিল চার হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা ভর্তূকি বাড়িয়ে নয় হাজার ৬০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গ্যাসে বরাবরই ভর্তূকি কম ছিল। এবারই প্রথম বিদ্যুৎখাতকে ছাড়িয়ে গ্যাসে ভর্তূকি দেয়া হলো। গ্যাসে এরআগে ২০১৭-১৮ অর্থবছর ভর্তূকি ছিল তিন হাজার ৬১ কোটি টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছর মাত্র ৩০০ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছর ১৮০ কোটি, ২০১৪-১৫ তে ১৭০ কোটি, ২০১৩-১৪তে ১৬০ কোটি এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে গ্যাসে ভর্তূকি ছিল মাত্র দুই কোটি টাকা।
বিদ্যুতে এখন আর ভর্তূকি দেয়া হয় না। পুরোটা ঋণ হিসেবে দেয়া হয়। বিদ্যুতে ২০১৮-১৯ অর্থবছর ঋণের পরিমান ছিল নয় হাজার ২০০ কোটি টাকা। আসন্ন অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে নয় হাজার ৫০০ কোাট টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বিদ্যুতে এরআগে ২০১৭-১৮ অর্থবছর ঋণ ছিল তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছর তিন হাজার ৯৯ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছর দুই হাজার ৭৯ কোটি, ২০১৪-১৫তে আট হাজার ৯৮ কোটি, ২০১৩-১৪তে ছয় হাজার ১০০ কোটি এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে বিদ্যুতে ঋণের পরিমান ছিল চার হাজার ৪৯ কোটি টাকা।