বিদ্যুতে বিনিয়োগ করতে সৌদিআরবের সমঝোতা
সৌদি আরব বাংলাদেশে বিদ্যুৎখাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। সৌদিআরবের কোম্পানি অ্যাকওয়া পাওয়ার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই সমঝোতা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিদ্যুৎ সচিব আহমেদ কায়কাউস।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কে গভীরতা আরো উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য কাজও শুরু হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সৌদি আরবের বাদশাহ বিনিয়োগের জন্য পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিএফআই) টিম পাঠানোর কথা বলেছেন। আর এক বছরের মধ্যে তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। এই চুক্তির মাধ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
‘আমাদের ঝুড়ি প্রায় পূর্ণ, তবে সামনের দিকে আরো ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চাই’—উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ ছিল তিন বিলিয়ন ডলার, এই সময়ের মধ্যে ২৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে বিদ্যুৎ খাতে। আগে বলা হয়নি এই গল্প। এখন বলার সময় হয়েছে।
অ্যাকওয়া পাওয়ার বাংলাদেশে গ্যাস ও এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহী। তারা তিন হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রাক-সমীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিদ্যুৎখাতে সৌদি কোনো কোম্পানির এটাই প্রথম বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব। এর আগে আল ফানাহ নামের একটি কোম্পানি পিজিসিবির সঙ্গে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি করেছে। এ ছাড়া সৌদির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে। এই কোম্পানি এলএনজি ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আজকাল একটা কথা শুনতে পাচ্ছি, এত বিদ্যুৎ রাখব কোথায়। অথচ এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ পাওয়ার কথা। ডিমান্ড এবং সাপ্লাই যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু হয়েছে। যাতে লোডশেডিং না হয় সেভাবে করা হয়েছে। অবকাঠামো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে করা হয়।
অ্যাকওয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান আবু নায়ন বলেন, সামাজিকভাবে খুবই সম্মানিত বোধ করছি। বিনিয়োগের সুযোগ পাওয়া আমার জন্য সৌভাগের। আমি আইএমএফ, ইউএনের প্রতিবেদন দেখেছি, বাংলাদেশ দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বলেন, মহেশখালী অথবা অন্য কোনো স্থানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে। নির্ভর করবে প্রাক-সমীক্ষার ওপর।