দ্বিতীয় ইউনিটেরও যন্ত্র আসা শুরু

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। রাশিয়া থেকে যন্ত্র আসা অব্যাহত আছে। দ্বিতীয় ইউনিটের যন্ত্রও আসা শুরু হয়েছে। সবমিলে পুরো দমে চলছে এর কাজ। ২০২৩ সালেই প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।
কোর ক্যাচারের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত রিয়্যাক্টর মেইনন্স হলের ৮৬ ফুট বা ২৬ দশমিক ৩০ মিটার দেয়াল নির্মাণ শেষ হয়েছে। রিয়্যাক্টর চত্বরের ভেতরের প্রাথমিক সুরক্ষা এবং এর সম্পুর্ণ ভার বহন করে এই দেয়াল। নকশা অনুযায়ী এখন নির্ধারিত স্থানে রিয়্যাক্টর ভেসেলসহ অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।
পারমাণবিক চুল্লির যন্ত্র আসা শুরু হয়েছে আরও আগে। বাকীগুলোও পর্যায়ক্রমে আসছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটোমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা অ্যাটোমএনারগোমাশ (এইএম) ও যন্ত্রপ্রকৌশল শাখা জেএসসি এইএম টেকনোলজি পেট্রজাভদস্কমাশ এই যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করে পাঠাচ্ছে।
চুল্লিপাত্র, স্টিম জেনারেটর যন্ত্রাংশ, প্রধান সঞ্চালন পাইপলাইন, প্রধান সঞ্চালন পাম্প, চাপ কমানোর যন্ত্র, জরুরি শীতলীকরণ ব্যবস্থা, টারবাইন হলের জন্য উচ্চ চাপ তৈরির হিটার, ভ্যাকিউম, কনডেনসেট, ফিড পাম্প ও টারবাইন ইউনিটটি পুনরায় গরম করার যন্ত্র সহ ১৪ ধরণের যন্ত্র তৈরি হচ্ছে রাশিয়ায়। ইতিমধ্যে চুল্লিপাত্রসহ চারটি স্টিম জেনারেটর রূপপুরে পৌঁছেছে।
এদিকে দ্বিতীয় ইউনিটের জন্যও উল্লেখযোগ্য কিছু যন্ত্র পাঠিয়েছে রাশিয়া।
প্রকল্পের পরিচালক মো. শৌকত আকবর বলেন, যন্ত্রপাতি আসছে। আশা করি নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও এএসই ইসি জেএসসি এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সের্গেই লাস্টোস্কিন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২০২০ সালের নির্মাণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকল সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়েছি। কান্টিলিভার ট্রাস থেকে রিয়াক্টর পিটের নিচের ফ্লোর পর্যন্ত নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ঠিক ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নতুন করে আরও ৬৭৭ জন জনবল নিয়োগ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে।