কর্মসংস্থান বাড়িয়ে চরম দারিদ্র্য কমানো হবে
আগামী পাঁচ বছরে দারিদ্র্যের হার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নিয়ে আসা হবে। আর চরম দারিদ্র্যের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ঊ্যাপক শিল্পায়ন আর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এই উন্নয়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
২৯ শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এই পরিকল্পনায় এভাবে দারিদ্র কমানোর কথা বলা হয়েছে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন সময়ের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ি, ২০২৫ সালের মধ্যে এক কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে প্রবাসে। বাকি ৮১ লাখ ৭০ হাজার কর্মসংস্থান হবে দেশে। পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে। প্রথম অর্থাৎ চলতি অর্থবছর ২১ লাখ, এরপরের বছর পর্যায়ক্রমে ২১ লাখ ৩০ হাজার, ২২ লাখ ৬০ হাজার, ২৪ লাখ ১০ হাজার এবং শেষ বছর ২৫ লাখ ২০ হাজার কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
পিছিয়ে পড়া জেলাগুলো থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরির জন্য যথাযথ তথ্য, প্রশিক্ষণ এবং অভিবাসন খরচ মেটাতে ঋণ দেয়া হবে।
করোনার কারণে পিছিয়ে যাওয়া অর্থনীতি আবার সচল করতে স্বাস্থ্য, আত্মবিশ্বাস, কর্মসংস্থান, আয় এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে আগের মত গতি আনার কথা বলা হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দ্রুত দারিদ্র কমানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে এতে।
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজন হবে মোট ৬৪ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা। এরমধ্যে সরকারি খাত থেকে আসবে ১২ হাজার ৩০১ দশমিক ২ বিলিয়ন টাকা বা ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। আর বেসরকারি খাত থেকে আসবে ৫২ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন টাকা বা ৮১ দশমিক ১ শতাংশ। আর মোট বিনিয়োগের ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং বিদেশি উৎস থেকে আসবে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।
অষ্টম পঞ্চ পরিকল্পনার প্রথম বছর ৭ দশমিক ৪০ শতাংশ, পরের বছর পর্যায়ক্রমে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ৮ শতাংশ, ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং শেষ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।