বড় প্রকল্পে ৮ মাসে বরাদ্দের অর্ধেকও খরচ হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা মহামারির কারণে চলমান বড় বড় প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ থাকা টাকার অর্ধেকও খরচ করা যায়নি।
চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-২০২০ থেকে ফেব্রুয়ারি-২০২১) সময়ে মেগাপ্রকল্পগুলোতে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ৩৩ হাজার ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
ফাস্ট ট্র্যাক অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য জানা গেছে।
পদ্মা সেতুতে খরচ ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেয়া হয় ২ হাজার ৯৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে এক হাজার ১২৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৫৩ দশমিক ৬০ শতাংশ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। এবছর মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে ৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা কমিয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ১৬৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫ হাজার ১৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৩৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
মেট্রোরেলে খরচ হবে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল ও সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল পাঁচ হাজার ৫৪২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে হাজার ৩০৭ কাটি ৩৩ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগে মোট খরচ হবে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সংশোধিত বরাদ্দ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ হাজার ৮৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৭৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরে মোট ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৫১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১১৮ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ।
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পে ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে এর বাস্তবায়ন শুরু। চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে বরাদ্দ ছিল চার হাজার ৪৮৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে এক হাজার ৪৮৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৪৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এটি ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা। চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৬৭২ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ হাজার ১৬৩ কোটি ৮ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৫৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।