বাজেট যথাযথ বাস্তবায়ন হোক

জীবন ও জীবিকাকে গুরুত্ব দিয়ে ৫০তম বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এবারও বাজেটে বিদ্যুৎখাতকে অন্যতম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গতানুগতিক আছে জ্বালানি। বিদ্যুৎখাতে বরাদ্দ বেশি থাকলেও করোনা পরবর্তী বিশেষ সময়ের জন্য কোন দিকনির্দেশনা নেই। নতুন কোন বিশেষ প্রকল্প নেই। চলমান প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ দিয়েই মোট বরাদ্দের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে।
জ্বালানি সমস্যা সমাধানে এলএনজি ছাড়া বিকল্প উদ্যোগ নেই। নিজস্ব খনিজ অনুসন্ধান বা উত্তোলনের পরিকল্পনা নেই। বিদ্যুৎ উৎপাদনকে গতকয়েক বছর যেমন বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে, বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে যেমন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে, প্রাথমিক জ্বালানি সমস্যা সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। এই উদ্যোগ খুব জরুরি।
দেশে বড় বড় যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার শীর্ষ কয়েকটিই বিদ্যুৎ বিভাগের। আর সেসব প্রকল্পে নিয়মিত বরাদ্দ দিয়েই এই খাত প্রথম সারিতে এসেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবার পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা; যা বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থবছরও সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। এতে আছে ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা, যা গেল অর্থবছরের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেশি। চলতি বাজেটে এতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
বড় প্রকল্পগুলোর সাথে সাথে অন্যগুলোর প্রতিও সমান নজর দিতে হবে।