দেশের ব্যাংকগুলোকে কমসুদে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে: হুমায়ুন রশীদ
সফল উদ্যোক্তা হুমায়ুন রশীদ। বাংলাদেশের জ্বালানিখাতে বহুমূখি বিনিয়োগকারি প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) প্রেসিডেন্ট,
বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার্স এসোসিয়েসনস্ (বিপপা) এর সহসভাপতি।
বিদ্যুৎ-জ্বালানিখাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘এনার্জি বাংলা’র মুখোমুখি হয়েছেন হুমায়ুন রশীদ। সেসব কথার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
করোনায় মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে, এলপিজি’র প্রসারকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হুমায়ুন রশীদ: বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন এলপিজি নির্ভর হয়ে উঠেছে। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, এই গ্যাস পরিবেশের কোনো ক্ষতি করে না। বাংলাদেশেও এর ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। যদিও করোনার প্রকোপের কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে বলে শিল্প পর্যায়ে এর ব্যবহার কিছুটা কমেছে, তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে, যেমন- শহরে রান্না করার আধুনিক ও স্মার্ট উপায় হিসেবে এখন এলপিজি ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে। গ্রাম ও প্রান্তিক এলাকায়ও মানুষ এখন রান্নার কাজে এলপিজি ব্যবহার করছে। তাই বলা যায়, অত্যন্ত দ্রুততার সাথে এলপিজি খাতের প্রসারের পাশাপাশি এর উৎপাদন বৃদ্ধিতেও আমাদের কাজ করতে হবে।
জ্বালানি ঘাটতির মধ্যে রান্নায় ব্যবহার করা জ্বালানির চাহিদা মেটাতে এলপিজি বড় ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের মানুষের আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধের মতো ক্রয় ক্ষমতা আছে বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: আমি বলবো যে, অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্ট সন্তোষজনক। এর কারণ আমাদের দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে, দেশের জিডিপি লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষি এবং অন্যান্য খাতের উৎপাদনও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, আমদানি রপ্তানি খাত সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং দেশে বৈদেশিক রেমিট্যান্স আসছে। এমতাবস্থায়, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনুসরণযোগ্য বলা যায়। তাই, আমি মনে করি যে, যারা এলপিজি ব্যবহার করছেন, তারা তা কেনার সামর্থ রাখেন বলেই ব্যবহার করছেন।
অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যথেষ্ট সন্তোষজনক। এর কারণ আমাদের দেশের জনগণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে, দেশের জিডিপি লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষি এবং অন্যান্য খাতের উৎপাদনও অব্যাহত রয়েছে। তাই, আমি মনে করি, যারা এলপিজি ব্যবহার করছেন, তারা তা কেনার সামর্থ রাখেন বলেই করছেন।
এই খাতের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী এবং এগুলো মোকাবিলা করতে কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: এই খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মুলত অবকাঠামো। নদীর নাব্য কমে যাওয়ার ফলে বড় জাহাজ থেকে এলপিজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা আমদানি ব্যয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বাজারমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি নদীর নাব্য বৃদ্ধিতে কাজ করা যেত, তাহলে আমরা বড় জাহাজ থেকে সরাসরি এলপিজি সরবরাহ করতে পারতাম। যেহেতু এলপিজি’র একটি বড় অংশই বাংলাদেশে আমদানি করা হয়, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দামের ওঠা-নামাও একটি চ্যালেঞ্জ। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে তাই এলপিজির মূল্য অপরিবর্তিত রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার, শীত, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিলিন্ডার পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এছাড়া, অবৈধ ক্রস-ফিলিং এই খাতে এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বড় অন্তরায়। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলকেই সচেতন হতে হবে।
বিইআরসি এলপিজি’র মূল্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে। নিয়ম তৈরি করে রেখেছে, মাসে মাসে শুধু সিপি মূল্যের পরিবর্তনের সাথে সমন্বয় করে দিচ্ছে। মূল্য নির্ধারণের এই নিয়ম যৌক্তিক বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের প্রথম সমস্যা হলো তারা যখন মূল্য গণনা করে, তখন আগের মাসের সিপি (কনট্রাক্ট প্রাইস) ধরে দাম নির্ধারণ করে। যদি দাম নির্ধারণ করতে হয়, তাহলে কিছু বিষয়, যেমন – আমদানি খরচ, সুদের হারের পরিবর্তনশীলতা, পরিবহন খরচ, ডিলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের বিনিয়োগের খরচ, খুচরা বিক্রেতাদের ন্যূনতম মুনাফার হিসাব- এগুলোও বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। কিন্তু বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) যে দাম নির্ধারণ করছে, তাতে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়নি।
এলপিজিতে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাদের এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: অবশ্যই দায়বদ্ধতা থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম আছে। গ্যাসলাইন বা পাইপ সংযোগ ঠিক আছে কিনা তা সবার আগে পরীক্ষা করতে হবে। রেগুলেটর, হোস পাইপ পরীক্ষা করতে হবে। রান্নাঘরে সিলিন্ডার থেকে আগুনের দূরত্ব বজায় রাখার যে নিয়ম তা মানাতে হবে। এসবের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করে। দুর্ঘটনার জন্য এগুলো অনেকাংশে দায়ী। উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদের যেমন দায়ভার আছে, নিয়মকানুন ঠিকভাবে মেনে চলার দায়ভারও কিন্তু গ্রাহকের ওপরেও বর্তায়।
দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আপনারা কী করছেন?
হুমায়ুন রশীদ: আমরা বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে এসব বিষয়ে গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন কর্মাশালার আয়োজন করে থাকি, যেখানে গ্রাহকদের সিলিন্ডার ইন্সটলেশন ও ব্যবহারের সময় কী কী সতর্কতা মানতে হবে সে সম্পর্কে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি। এছাড়াও, এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) এর সাথেও যৌথভাবে বিভিন্ন ধরণের গণসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছি।
যেভাবে আমরা উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছি, সেভাবে সঞ্চালন ও বিতরণে দেই নি, যা পরিকল্পনার একটি বড় ত্রুটি। এ খাতে সরকারি এবং বেসরকারি উভয়েরই আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় অনেক কাজ করতে হবে। বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিক ও সক্ষম না হলে শিল্পখাতের উন্নতি আশানুরূপ হবে না।
এলপিজি নিয়ে আপনাদের নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে?
হুমায়ুন রশীদ: এনার্জিপ্যাক সফলতার সাথে এলপিজি মার্কেটে ‘জি-গ্যাস’ নিয়ে এসেছে। ইতোমধ্যেই খুলনার দাকোপ উপজেলার চুনকুড়ির ১ হাজার ৯৬৯ দশমিক ৭৭৫ ডেসিমাল জমিতে একটি এলপিজি বোতলজাতকরণ এবং সিলিন্ডার উৎপাদন ও বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ৫ হাজার ৪০০ দশমিক ৮৩ মেট্রিক টন। এটি জি-গ্যাস ব্র্যান্ড নামে দেশে আমদানি, মজুদ, বোতলজাতকরণ এবং বিপণন করছে। বর্তমানে, জি-গ্যাস সারা দেশে ৩০০টি এলপিজি রিফুয়েলিং স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১১৬টি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশনে আমরা গাড়িতে এলপিজি সরবরাহ করছি। এই প্রকল্পটি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী এবং ভবিষ্যতে এই প্রকল্প নিয়ে আমাদের আরও অনেক কাজ করার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া, রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানির সাথে তাদের নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনগুলোতে অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপন ও এলপিজি অটোগ্যাস সরবরাহ করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।
এনার্জিপ্যাক জ্বালানির নানামুখী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান। সামগ্রিকভাবে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
হুমায়ুন রশীদ: এনার্জিপ্যাক জ্বালানির দক্ষতা বাড়ানো, দক্ষ প্রকৌশল এবং উদ্ভাবনী পণ্য তৈরিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মাথাপিছু চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ ও যন্ত্র সরবরাহে কাজ করছি। আমি মনে করি, বাংলাদেশে সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা দরকার। এর চাহিদা আরও বাড়বে। তাই চাহিদা পূরণে আগামীতে যে ধরণের পণ্য প্রয়োজন, ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এনার্জিপ্যাক সে ধরণের পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হবে। বর্তমানে সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া, আগামীতে বহুমুখী বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতেও আমরা আগ্রহী। ইতোমধ্যে আমরা বাজারে জেএসি, জেসিবি ইন্ডিয়া লিমিটেড’র মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তৈরি করেছি। গ্যাস ও ডিজেলভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র-ও স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ খাত ও বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন নিয়ে আমাদের পাঁচ বছরের পরিকল্পনা রয়েছে। কোন কোন জায়গায় বিনিয়োগ করবো এবং কিভাবে এই বিনিয়োগ কার্যকর করে তুলবো এই পরিকল্পনায় তার উল্লেখ আছে।
করোনায় দেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত কেমন চলছে বলে আপনি মনে করেন? সামনের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে এবং কোন কোন বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: দেশের অন্যান্য খাতগুলোর তুলনায় বিদ্যুৎখাত এই বৈশ্বিক মহামারির সময়েও স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে আগামীতে যে পরিমাণ চাহিদা বাড়বে, সে পরিমাণ বিদ্যুতের সরবরাহ থাকা প্রয়োজন। সেই সাথে এই বিদ্যুৎকে সুস্থিত, মানসম্পন্ন ও নির্ভরযোগ্য করার ব্যাপারেও জোর দিতে হবে। তাহলেই দেশের উন্নয়ন, বিশেষ করে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বাড়বে। আর সেই সাথে দেশের জিডিপি-ও বাড়বে। যদিও চাহিদা অনুযায়ী এখনও বিদ্যুতের যথেষ্ট সরবরাহ আছে, তবে পরবর্তীকালে বাড়তি চাহিদার চাপ সামলাতে সঞ্চালন ও বিতরণের দিকে নজর দেয়া দরকার। অবকাঠামোগত উন্নয়নেরও প্রয়োজন আছে।
যদি ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে তবে অনেক ভাল হবে। দেশের ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদী এবং উচ্চহারে বিনিয়োগ করে বলেই বিনিয়োগ ব্যহত হয়। যখন এই খাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা সুন্দরভাবে পূূরণ হবে।
বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা কোন অবস্থানে আছে বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশিদ: যেভাবে আমরা উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়েছি, সেভাবে সঞ্চালন ও বিতরণে দেই নি, যা পরিকল্পনার একটি বড় ত্রুটি। এ খাতে সরকারি এবং বেসরকারি উভয়েরই আরও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় অনেক কাজ করতে হবে। বিদ্যুতের সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিক ও সক্ষম না হলে শিল্পখাতের উন্নতি আশানুরূপ হবে না। আপনি যতই আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করেন, কারখানা অটোমেশন করেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সফটওয়্যার বসান, কোনো কাজে লাগবে না, যদি না নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ পান। বিদ্যুৎ উৎপাদন যেভাবে বেড়েছে, একইভাবে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনও ঠিক করতে হবে। যাতে সবাই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পায়।
এখন বিদ্যুতের অনেকটাই বিদেশ নির্ভর। দেশীয় উদ্যোক্তারা ছোট ছোট কেন্দ্রে বিনিয়োগ করছে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের এখাতে অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে কী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন?
হুমায়ুন রশীদ: সবচেয়ে ভাল হয় যদি ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে পারে। দেশে পিপিপি’র আওতায় যেসব প্রকল্প আসছে, সেখানে বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো স্বল্প মেয়াদী এবং উচ্চ হারে বিনিয়োগ করে বলেই এই বিনিয়োগ ব্যহত হয়। যখন এই খাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ বাড়বে, তখন বিদ্যুতের চাহিদা সুন্দরভাবে পূূরণ হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
হুমায়ুন রশীদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।