বর্জ্য থেকে আমীনবাজারে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা শহরের বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে যাচ্ছে। রাজধানীর আমিনবাজারে স্থাপন করা হচ্ছে বর্জ্য বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বর্জ্য থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আমিনবাজার এলাকায় চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএমইসি) ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। এতে খরচ হবে প্রায় ১৫ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা। প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য লাগবে। উত্তর সিটি কর্পোরেশন এই বর্জ্য সরবরাহ করবে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ১৮ টাকা ২৯৫পয়সা।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও এ এবিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।
চীনা কোম্পানি নিজ বিনিয়োগে কেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।
যেসব বিভাগী বা জেলা শহর অথবা পৌরসভা প্রতিদিন ৬শ টন ময়লা আবর্জনা সরবরাহ করতে পারবে তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সরাসরি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা প্রয়োজন হবে তা সরবরাহ করলে শহরে ময়লার সমস্যা থাকবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। মন্ত্রী জানান, শুধু ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নয় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, বিভাগীয় ও জেলা শহর এমনকি পৌরসভাগুলোতেও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান আছে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের দেশের জন্য এটা একটি নতুন বিষয়। আমিনবাজারে যে কেন্দ্রটি হচ্ছে তা বেশ বড় নবায়নযোগ্যা জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। তিনি বলেন, ঢাকা বৈদ্যুতিক বাস চালানো এখন এটা সময়ে দাবি। বৈদ্যুতিক গাড়ির সক্ষমতা ৮০ ভাগ। আর তেলে চালিত গাড়ির মাত্র ২০ ভাগ।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে একটি সুন্দর ও পরিবেশবান্ধব শহর করতে ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক বাস নামানো হবে। বর্জ্য থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হব তা দিয়ে বৈদ্যুতিক বাসের চাহিদা মেটানো হবে। অদূর ভবিষ্যতে ঢাকায় তেল চালিত কোন যান চলবে না। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য রাখেন।