পাক্ষিক ‘এনার্জি বাংলা’ প্রকাশনার দুই বছর
পাক্ষিক ‘এনার্জি বাংলা’ প্রকাশনার দুই বছর পার করেছে। প্রতিকূলতার মধ্যেও দুই বছরে ৪৮টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবী যখন প্রতিকূল সময় পার করছিল তখন তার মধ্য দিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল এলার্জি বাংলা’র।
২০১৯ এর ৭ই ডিসেম্বর প্রথম সংখ্যা প্রকাশ হয়। তখন চীনে শুরু হয়েছে কারোনা। কিছুদিন পরেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মার্চ মাসে এসে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মহামারীর প্রকোপে সবকিছু থেমে যায়। নতুন, ভয়ের পৃথিবী সামনে আসে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ববাসীর কাছে। হতবাক স্তব্ধ সবকিছু।
তখন এনার্জি বাংলা’র মাত্র আটটি সংখ্যা প্রকাশ হয়েছে। আগ্রহ নিয়ে হাতে নিতে শুরু করেছে পাঠক। আর তখনই দেশ জুড়ে নেমে এল লকডাউন। নতুন আতঙ্ক এবং ভয়।
অন্য সকল কার্যক্রমের সাথে বাধাগ্রস্ত হল এনার্জি বাংলা। কিন্তু গর্বের বিষয়, এতো প্রতিকুলতার মধ্যেও একটি সংখ্যাও প্রকাশনা বন্ধ হয়নি। প্রত্যেক পাক্ষিকে প্রকাশিত হয়েছে। নানা জটিলতায় সময়ের একটু এদিক-ওদিক হয়েছে ঠিকই। অনেক সময় নির্দিষ্ট সময়ে পাঠকের হাতে তুলে দেয়া যায়নি। তবে প্রকাশনা অব্যাহত থেকেছে।
এই দুর্যোগের মধ্যে মানুষের কাছে সেই প্রকাশনা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা।
ছাপানোর আদলে পিডিএফ আকারে এলার্জি বাংলা তার প্রিয় পাঠকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ অথবা মেসেঞ্জার অথবা সামাজিক যোগাযোগের অন্য মাধ্যমে।
সেই মহামারী দুর্যোগের মধ্যে এলার্জি বাংলার পাশে থাকার জন্য গ্রাহক শুভানুধ্যায়ী বিজ্ঞাপনদাতাসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সত্য, বস্তুনিষ্ঠ এবং গঠনমূলক সমালোচনায় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছে পাক্ষিক এনার্জি বাংলা। সামনের পথ চলাতে সেই ধারা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
ছাপানোর সাথে সাথে সমান তালে চলছে অনলাইন। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও পরিবেশ বিষয়ে বিশেষায়িত বাংলাদেশের প্রথম নিউজ পোর্টাল এনার্জি বাংলা। ২০০৬ সালে এনার্জি বাংলার অনলাইনের যাত্রা শুরু। তখন ছিল শুধু ইংরেজি ভাষায়। পরে ২০১২ সাল থেকে যোগ হয় বাংলা। সরকার অনুমদিত যে কয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে এনার্জি বাংলা তারমধ্যে একটি। এখন ইংরেজি বাংলা দুটোই চলছে সমান তালে। দেশ বিদেশের প্রচুর মানুষ অনলাইনে পড়ে এনার্জি বাংলা।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বা স্বাধীনতার ৫০ বছরের এই ক্ষণে ‘শূন্য থেকে মহাশূন্যে’ পৌঁছেছে বাংলাদেশ। সকল নেতিবাচক মন্তব্যকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের পথে। অর্থনীতির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
সেদিন দেখার অপেক্ষায়।
এনার্জি বাংলা’র পথ চলায় সাথে থাকার জন্য আবারও সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।