শরীয়তপুরে শুরু হয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান কুপ খনন

নিজস্ব প্রতিনিধি:
পদ্মাপাড়ের জেলা শরীয়তপুরে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে বাপেক্স। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নের দিনারা গ্রামে কূপ খননের কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন লিমিটেড (বাপেক্স) সূত্র জানায়, ২০১৪-১৫ সালে শরীয়তপুরের মেঘনা নদীর তীর থেকে খুলনা পর্যন্ত দ্বিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ করা হয়। জরিপের ওপর ভিত্তি করে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চামটা ইউনিয়নে গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন করা হচ্ছে।
‘শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১’ এর আওতায় ৯৫ কোটি টাকা খরচ করে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। চলতি বছরই এর অনুসন্ধান শেষ হবে।
ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়া গ্যাস পাওয়া গেছে। ভোলা, নেয়াখালী এবং সুন্দরবনের নিকটবর্তী এলাকা হওয়ায় শরীয়তপুরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল বলে মনে করছেন ভূতাত্ত্বিকরা।
জমি অধিগ্রহণের দুই বছর পর অনুসন্ধানের জন্য তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট-কালভার্ট। প্রথমবারের মতো শরীয়তপুরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে কূপ খনন শুরু করেছে বাপেক্স। চলতি বছরই খুলে দেয়া হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সড়ক পথ। গ্যাস পাওয়া গেলে পাল্টে যাবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক দৃশ্যপট।
৬ দশমিক ৪৯ একর জমি দুই বছরের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। টানানো হয়েছে কূপ খননের নিশানা। ফসলি জমির চারদিক পাইলিং করে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকায় ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেয়ার কাজের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক ও কালভার্ট।
দিনারা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ১৮ কৃষক পরিবারকে ক্ষতিপূরণের জন্য দেয়া হয়েছে নোটিশ। তাদের দুই বছরের ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৬ টাকা দেয়া হবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুই বছরের জন্য জমির হুকুম দখল নেয়া হয়েছে। জমির ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা দুই বছরের জন্য মূলত ফসলের ক্ষতিপূরণ পাবেন। আগামী মাসের শুরুতেই জমির ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু হবে।
শরীয়তপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প-১-এর প্রকল্প পরিচালক মো. তোফায়েল উদ্দিন সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, কূপ খননের মাধ্যমে গ্যাস পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। অনুসন্ধান সফল হলে মজুত থাকা গ্যাসের পরিমাণ সম্পর্কে বোঝা যাবে।