সালদায় পরিত্যাক্ত কূপে গ্যাস: আরও ২০টি চিহ্নিত
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সালদানদী গ্যাসক্ষেত্রে পরিত্যাক্ত কূপ সংস্কার করে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। এভাবে বিভিন্ন গ্যাসক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০টা পরিত্যাক্ত কূপ চিহ্নিত করেছে বাপেক্স। সেসব কূপ সংস্কার বা ওয়ার্কওভার করে ১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি. (বাপেক্স) সূত্র জানায়, সালদায় গ্যাসের চাপ প্রতি ইঞ্চিতে ৫০০ পাউন্ড। এখন প্রতিদিন ৩০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে। তবে তা ৫০ লাখের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগামী ৪/৫ বছর টানা এই গ্যাস পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বাপেক্স। সালদার এই কূপ সংস্কার করতে প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
এরআগে কৈলাশটিলার পরিত্যাক্ত কূপে গ্যাস পাওয়া গেছে। সেখান থেকে দৈনিক এক কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা হচ্ছে।
সালদানদী গ্যাসক্ষেত্র ১৯৯৬ সালে আবিষ্কার করা হয়। ১৯৯৮ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে বাপেক্স। প্রথমে ৪টি কূপ দিয়ে প্রতিদিন ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা হত। পরে দুটি কূপ বন্ধ হয়ে যায়। ২ নম্বর কূপটি ২০১২ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এখান থেকে গ্যাস তোলা হত ৭ হাজার ৯৮৯ ফুট বা ২ হাজার ৪৩৫ মিটার মাটির নিচ থেকে। নতুন করে আরও ৩৯৩ ফুট বা ১২০ মিটার খনন করে নতুন স্তর থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে। নতুন স্তরটি ৮ হাজার ৩১৭ ফুট বা ২ হাজার ৫৩৫ মিটার থেকে ৮ হাজার ৩৫০ ফুট বা ২ হাজার ৫৪৫ মিটার গভীরে।
বাপেক্স সূত্র জানায়, এরপর সেমুতাং ক্ষেত্রে পরিত্যাক্ত কূপ সংস্কার করা হবে। আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহে সেমুতাং সংস্কার শেষ হবে।
বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, গ্যাসের অনুসন্ধান-উৎপাদন বাড়াতে অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম, শরীয়তপুর আর ভোলায় নতুন কূপ খনন করা হবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই ৪টি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে।