উত্তরাঞ্চলে অকটেন ও পেট্রোল সংকট
নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের উত্তরাঞ্চলে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহ কম হচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে পেট্রোল ও অকেটেনের সংকট চলছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েতে হয়েছে অনেককেই। মজুদ কমে আসায় শুধু সরকারি যানবাহনে তেল দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মোটর সাইকেলে রেশনিং করে ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত পেট্রোল এবং অকটেন দেওয়া হচ্ছে। অনেক ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও অকটেনের মজুদ শেষ হওয়ায় বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও খোলাবাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি হচ্ছে।
পাম্প মালিকরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলছেন, সরবরাহ না থাকায় পেট্রোল অকটেন বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৫ হাজার লিটার পেট্রোল এবং ১৫ হাজার লিটার অকটেন ধারণ ক্ষমতার ট্যাংকারে ৫০০ লিটার করেও মজুদ নেই বলে তারা জানান।
ঈদের দিন ৩রা মে রাত থেকে অনেক পাম্পে পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রেনের ওয়াগন সংকটের কারণে তেল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। তাই সাময়িক সংকট।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, পেট্রোলের সংকট চলছে। পেট্রোল ব্যবহারকারী গাড়িগুলো বাধ্য হয়ে অকটেনের দিকে ঝুঁকেছে। এতে অকটেনেও সংকট তৈরি হয়েছে। ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণেও তেল পরিবহনে ব্যাঘাত ঘটেছে। এটাও সংকটের একটা কারণ।
কুড়িগ্রামের এক পাম্পের ব্যবস্থাপক বলেন, বাঘাবাড়ী, রংপুর ও পার্বতীপুর ডিপো থেকে পেট্রোল ও অকটেন আসে। বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে ৩০শে এপ্রিল ১৫ হাজার লিটার অকটেন এবং ৫ই মে সাড়ে ৪ হাজার লিটার পেট্রোল এসেছিল। এরপর আর আসেনি। ফলে মজুদ একেবারে তলানিতে।
দিনাজপুরে অনেক পাম্প ঘোষণা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে খোলা বাজারে অতিরিক্ত দামে পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুরের লিলি মোড়, সিএন্ডবি মোড়, বড়মাঠ বড়পুল, পুলহাট, পাসপোর্ট অফিস মোড়, বালুয়াডাঙ্গা, শিকদারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে খুচরা পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা লিটার দরে। যেখানে পেট্রোলের নির্ধারিত মূল্য ৮৯ টাকা লিটার। অনেকেই পেট্রোল না পেয়ে অকটেন ব্যবহার করছেন, যদিও অকটেনেরও মজুদ শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন পাম্প মালিকরা।