বিশ্বে বায়ু ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড
ইবি ডেস্ক/ রয়টার্স :
গত বছর বিশ্বব্যাপী বায়ু এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। ২০২২ সালে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১২ শতাংশ হয়েছে সৌর ও বায়ু থেকে। যা ২০২১ সালে যা ছিল ১০ শতাংশ।
জলবায়ু ও জ্বালানি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিদ্যুৎকে সর্বোচ্চ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন খাত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
এমবার তার বার্ষিক বৈশ্বিক বিদ্যুৎ পর্যালোচনায় ৭৮টি দেশের বিদ্যুৎখাতের তথ্য পর্যালোচনা করেছে। যা বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের চাহিদার ৯৩ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে।
সকল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরমাণু মিলে গত বছর মোট বিদ্যুতের ৩৯ শতাংশ উৎপাদন হয়েছে। এই সময় সৌর বিদ্যুতের ২৪ভাগ আর বায়ু বিদ্যুতের ১৭ ভাগ ব্যবহার বেড়েছে।
বিশ্বব্যাপী গ্যাস সংকটের কারণে কিছু দেশ কয়লায় ফিরেছে। এজন্য কয়লায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। আর গ্যাসের ব্যবহার কমেছে, দশমিক ২ শতাংশ। কারণ উচ্চ মূল্যের কারণে গ্যাসের ব্যবহার আরও ব্যয়বহুল হয়েছে।
গত বছর বিদ্যুৎখাত থেকে কার্বণ নির্গমন ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। বায়ু এবং সৌর ব্যবহার বাড়ায় সেই বৃদ্ধিকে ধীর করেছে। যদি বায়ু এবং সৌরর পরিবর্তে পুরোটা জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিদ্যুৎ হতো তবে ২০২২ সালে এই খাত থেকে কার্বণ নির্গমন আরও ২০ শতাংশ বেশি হত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
চাহিদা এবং পরিবেশ বান্ধব বিদ্যুতের গড় বৃদ্ধি অনুমান করে, এমবার পূর্বাভাস দিয়েছে যে, এই বছর জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন দশমিক ৩ শতাংশ কমবে।
বিদ্যুৎখাত কার্বণ নির্গমনের প্রধান উৎস, তাই আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা বলছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎখাতকে শূন্য নির্গমনে পৌঁছাতে হবে। আর এ জন্য বায়ু এবং সৌরকে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪১ শতাংশে পৌঁছাতে হবে।