বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ছয় মাসের বিল বাকি: ধৈর্য ধরার আহ্বান প্রতিমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডলার সংকটের জন্য যে বিল শোধ করা যাচ্ছে না তার জন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ করলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
বেসরকারি কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনে গত ছয় মাস ধরে বিল দেয়নি বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এতে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা দেনা হয়েছে। এই অর্থ শোধ করতে না পারলে জুন অথবা জুলাই মাস থেকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হতেও পারে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী নির্বাচনের আগে নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আপাতত পরিকল্পনা নেই। আগামী বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ওপর কর হ্রাস করার বিষয়টি বিবেচনা করা হতে পারে।
রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে সোমবার (২৯শে মে) ‘বাজেট ২০২৩-২৪ চ্যালেঞ্জেস এন্ড এক্সপেক্টেশন ফর স্টেকহোল্ডার্স ইন পাওয়ার এন্ড এনার্জি সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে এসব আলোচনা হয়।
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স, বাংলাদেশ (এফইআরবি) ও বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্টেন্ড পাওয়ার প্রডিউচার এসোসিয়েশন (বিপপা) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি চাহিদাও বাড়ছে। নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না চাইলেও এ খাতে অতিরিক্ত করভার কমাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আপাতত গণহারে ভর্তুকি না দিয়ে যেসব খাতে ভর্তুকি দরকার, সরকার সেখানে ভর্তুকি দেবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাপের মধ্যে আছি এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা বসেও নেই। বিশ্বের যেসব দেশ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেল-গ্যাসের ব্যবসা করতে পেরেছে, তারা বাদে বাকি সবাই চাপের মধ্যে আছে। সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বিপপা’র সভাপতি ফয়সাল খান দ্রুত পাওনা বিল শোধ করার জন্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানান।
আলোচনায় অংশ নেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল এ ইলাহী, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিপপা’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাম্মেল হোসেন।
এফইআরবি চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নির্বাহি পরিচালক রিশান নসরুল্লাহ।